কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজ তদারকি এবং ডিজাইন রিভিউ’র লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে বুধবার রাজধানীর সেতু ভবনে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, চীনের সঙ্গে জি-টু-জি ভিত্তিতে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনবিশিষ্ট কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী টানেল বাংলাদেশের প্রথম টানেল হওয়ায় সরকার অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে নির্মাণ তদারকি এবং কারিগরি বিষয়গুলো দেখছে। টানেল নির্মিত হলে চট্টগ্রাম হবে সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগসহ টানেলটি যুক্ত করবে প্রস্তাবিত মিরসরাই-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ, প্রস্তাবিত ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পকে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি নদীর ওপাড়ে চীনের সহায়তায় নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন ইপিজেডকে সংযুক্ত করবে। বাড়বে কর্মসংস্থান, সম্প্রসারিত হবে নগরায়ণ। বদলে যাবে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জনজীবনের চালচ্চিত্র। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মহাসড়কে উত্তরণে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।উল্লেখ্য, টানেলটি হবে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। দুই প্রান্তের সংযোগ এবং একটি এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার। শিল্ড ড্রাইভেন মেথডে নির্মিতব্য টানেলটি হবে দুটি টিউবে দুই লেন করে চার লেনের।প্রায় ২৯১ কোটি টাকা মূল্যের এ চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মেদ এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষে গ্যাভিন হ্যারং স্ট্রিড স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টানেলের বিস্তারিত নকশা রিভিউ এবং নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্ব পালন করবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী ইফতেখার কবিরসহ সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।এমইউ/জেএইচ/এবিএস
Advertisement