ইরাকের মসুল শহরে বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। মসুলে ইরাকি বাহিনী জঙ্গি ঘাঁটির খুব কাছে চলে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বিপদ আসন্ন জেনেই নিরস্ত্র মানুষকে সামনে রেখে বাঁচার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। খবর বিবিসির। মসুল শহরে ৭ লাখের মত মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজারই আইএসের সদস্য। শহরটি দখলে তৃতীয়বারের মত অভিযান শুরু করেছে ইরাকি বাহিনী। আইএসের শক্ত ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সৈন্যরা। কয়েক দফা অভিযানে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে আইএস। শেষ উপায় না দেখে এখন সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে বাঁচতে চাইছে জঙ্গিরা। এদিকে, কারাদোস শহর মুক্ত করার খবর পাওয়া গেলেও তা অস্বীকার করেছেন এক সরকারি কমান্ডার। তবে মার্কিন জোটের দাবি, তারা আইএস যোদ্ধাদের হটিয়ে ১০টি গ্রাম মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। সরকার বাহিনী এখন দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়েছে। এদিকে, সোমবার থেকে অভিযান শুরু করেছে সরকার বাহিনীর মিত্র কুর্দিশ জোট। তারা পূর্ব দিক থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। ওই শহরের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সম্ভাব্য মানবিক সংকট মোকাবেলায় অবকাঠামোগত পরিকল্পণা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। মসুল শহরে জঙ্গিরা সাধারণ নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে নিশ্চিত করেছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিন ধরে লোকজনকে ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আসতে দেখছি না।’ টেলিফোনে রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আইএস জঙ্গিরা তাদের ওই এলাকা থেকে পালাতে দিচ্ছে না। এদিকে, মসুলের বাইরে নতুন শরণার্থী শিবির তৈরির জন্য কাজ করছে জাতিসংঘ। ইরাকে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিসে গ্রান্ডে বলেছেন, আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানে ২ লাখের মত মানুষের জরুরি আশ্রয় প্রয়োজন হবে। সাধারণ নাগরিকদের আশ্রয় দিতে ইতোমধ্যেই শরণার্থী শিবির তৈরির কাজ শুরু করেছে সংগঠনটি। টিটিএন/পিআর
Advertisement