মানুষের কত গল্পই না থাকে। সব গল্প কি আমরা জানতে পারি? একেকটা না জানা গল্প জানা হয়ে উঠলে বদলে যায় অনেক কিছু। এমন গল্প আছে সবার। সে সব গল্প থেকে অন্যরকম একটি গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে টেলিছবি ‘না বলা গল্প’। রচনা ও পরিচালনা করেছেন সোয়েব সাদিক সজীব।গ্রামের শিক্ষিত সুন্দরী মেয়ে নয়নতারা। কাকতালীয়ভাবেই সদ্য বিসিএস উত্তীর্ণ নয়নের সঙ্গে তার দেখা হয়। নয়নতারার প্রেমে পড়ে নয়ন। কিন্তু মনের কথা খুলে বলতে পারে না। সে লক্ষ্য করে নয়নতারা আর দশটি প্রেমের মতো না। কেমন যেন অহংকারী। অন্যদিকে নয়নতারার বাবার চাকরি নিয়ে গ্রামের মোড়ল আনিস ও তার সহচর লতিফ ষড়যন্ত্র করতে থাকে।নয়নের কাছে সবকিছুই রহস্যময় লাগে। এক সময় কাছের বন্ধু সোয়েবকে নিয়ে নয়নতারার মুখোমুখি হয়। এতো অহংকারের কারণ জানতে চায়। নয়নতারা উচ্চস্বরে বলে, ‘আমি অহংকারী? আমি অহংকারী হতাম, যদি আমার সাথে যা হয়েছে তা ৭১-এর আগে পরাধীন দেশে করা হতো, তাহলে অহংকার করে বলতে পারতাম আমি বীরাঙ্গনা, কিন্তু এই স্বাধীন দেশে আমার সাথে যা হয়েছে তার নাম কী দিবে এই সমাজ!’ সব জেনে শুনেও সোয়েবের মাধ্যমে নয়নতারার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় নয়ন। কিন্তু, নয়নতারা মোড়ল আনিসের মুখোশ খুলে দিয়ে চলে যায় না ফেরার দেশে।এমন বিয়োগান্তক কাহিনীতে অভিনয় করেছেন নয়ন বাবু, শায়লা সাবি, খুরশেদ আহম্মেদ, মামুনুর রহমান, শিখা, আনিস কুরাইশী, লতিফ ও সোয়েব সাদিকসহ আরও কয়েকজন থিয়েটারকর্মী।নয়ন চরিত্রে রূপদানকারী নয়ন বাবু বলেন, ‘আমি মনে করি আমার অভিনীত নাটক-টেলিছবির মধ্যে এটি অন্যতম কাজ। নতুন পুরাতন বলে কিছু নেই, মেধাবী ডিরেক্টরদের সাথে কাজ করার মজাই অন্যরকম। আশা করি দর্শকদের পছন্দ হবে টেলিছবিটি।’নয়নতারা চরিত্রে আছেন শায়লা সাবি। তিনি বলেন, ‘এ রকম চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি, চরিত্রটি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। ধন্যবাদ সোয়েব ভাইকে, এমন একটা চরিত্রে আমাকে অভিনয় করানোর জন্য।’নির্মাতা সোয়েব সাদিক বলেন, ‘আমি সেলিব্রেটি নির্ভর নাটক না বানিয়ে বাংলা নাটকের ধারায় নাটক নির্মাণের চেষ্টা করি।চেষ্টা করি অভিনয় জানা থিয়েটর কর্মী নিয়ে নাটক বানানোর। এই নাটকে সকল অভিনেতা অভিনেত্রীই চমৎকার অভিনয় করেছেন। আশা করি দর্শকদের ভাল লাগবে।’ তিনি আরও জানান, শিগগিরই কোনো একটা বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে ‘না বলা গল্প’।এমএএস/পিআর
Advertisement