অর্থনীতি

শিল্পনীতিতে আইটি‘র উন্নয়নে নির্দেশনা থাকবে : শিল্পমন্ত্রী

২০১৫ সালের জাতীয় শিল্পনীতিতে তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) শিল্পের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার নির্দেশনা থাকবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রপ্তানি পণ্য বৈচিত্রকরণের ওপর জোর দিচ্ছে। সফ্টওয়্যার রপ্তানি বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।শিল্পমন্ত্রী বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বেসরকারিখাতের উত্তম ব্যবস্থাপনার জন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা জানান। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম তথ্য-প্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফ্টওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।  সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোশাররফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।সেমিনারে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে সফ্টওয়্যার ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের সম্প্রসারণে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে। ফলে দেশিয় সফ্টওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানির সক্ষমতা বাড়ছে। বর্তমানে এখাতে বাংলাদেশ থেকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাহিদা মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইটি বাজার রয়েছে। প্রশিক্ষিত আইটি প্রকৌশলী ও জনবল বাড়িয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে সফ্টওয়্যার রপ্তানিখাতে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি সম্ভব। এ শিল্পের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।আমির হোসেন আমু বলেন, সুশাসন ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়াতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রুত সেবাদানের পাশাপাশি অল্প জনবলে অধিক সেবা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ের পরিচালন ব্যয়ও কমে আসবে। তথ্য-প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার সময়, সম্পদ, মেধা ও জনবল সাশ্রয় করে শিল্প বা ব্যবসায়িক উদ্যোগকে দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতার অভাবে বাংলাদেশের শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তিনজন মিলে মাত্র একজনের কাজ করছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের মোট আয়ের শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বেতনভাতা বাবদ ব্যয় হচ্ছে এবং ব্যবসায়ের পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তারা প্রাতিষ্ঠানিক উত্তম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ জনবল নিয়োগের ওপর গুরুত্ব দেন। এ লক্ষ্যে তারা সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা অর্জনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে মানবসম্পদকে মানব পূঁজিতে পরিণত করার সুপারিশ করেন।এসআই/এএইচ/পিআর

Advertisement