বিয়ের বয়স হয়নি মেয়ের। এফিডেফিটের মাধ্যমে বিয়ের উপযুক্ত বয়স করা হলো। কিন্তু, বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে থেমে যায় বাল্য বিয়ের সেই আয়োজন। শেষে বর ও কনের বাবাকে ১৫ দিন করে জেলের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।মঙ্গলবার রাতে বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের সিপাইপাড়া গ্রামে এই বাল্য বিয়ের আয়োজন ছিল। রাতেই উভয়ের অভিভাবকদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিয়ে রেজিস্ট্রির জন্য নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেফিট (হলফনামা) করে মেয়ের বয়স ১৮ বছর করেন মাড়েয়া ইউনিয়নের সিপাইপাড়া গ্রামের ফজলুল হক। তার মেয়ে ফরিদা আকতার স্থানীয় বামনহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বর একই উপজেলার একই ইউনিয়নের কলোনীপড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুর রহিম। সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন শেষ পর্যায়ে। এক পর্যায়ে বরপক্ষ এসে হাজির। চলছে প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হই হুল্লোর। বরযাত্রী আপ্যায়ন শেষে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চলছে কাজীর জন্য অপেক্ষা। কিন্তু, আকস্মিক পুলিশসহ হাজির হন বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আওয়াল। সাথে ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন। মুহুর্তে থেমে যায় বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা। অবস্থা বেগতিক দেখে সটকে পড়েন কনের বাবা ফজলুল হক। ঘণ্টাখানেক পর তিনি উপস্থিত হন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আউয়াল বর ও কনের বাবাকে তাৎক্ষণিক ১৫দিনের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন। এময় বিয়ের ঘটককেও এক হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আউয়াল বলেন, অবৈধভাবে বয়স বাড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।বোদা থানা পুলিশে ওসি মজনুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতেই বর ও কনের বাবাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।এমএএস/আরআই
Advertisement