হত্যা, গুম, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। বুধবার দুপুরে এক বিবৃতিতে ইউট্যাবের ৬২৫ জন শিক্ষক এক যুক্ত বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।শিক্ষকরা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার গণআন্দোলনে শরিক ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ক্রমবর্ধনশীল হারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছেন।বর্তমান রাজনৈতিক সংকট বল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রশমিত করার সরকারের ভ্রান্ত নীতি কারও জন্য সুফল বয়ে আনবে না। রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে সরকার যে দমন নীতি গ্রহণ করছে তার মাধ্যমে তাদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং স্বৈরাচারিতার লক্ষণ প্রকটভাবে ফুটে উঠছে।শিক্ষকরা আরও বলেন, আমরা আরো লক্ষ্য করছি, দূষ্কৃতিকারিদের তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পরিবর্তে বিভিন্ন কল্পকাহিনী প্রচার করে আন্দোলনরত নেতাকর্মী এবং অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। দেশ আজ সন্তানহারা পিতা-মাতা, পিতৃহীন সন্তান এবং বিধবা নারীর আহাজারিতে বিচলিত। আমরা সকল গুম, হত্যা, তথাকথিত ক্রসফায়ারে হত্যা, বাস ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপসহ সকল নাশকতা কাজের তীব্র নিন্দা ও বন্ধের দাবি জানাই।ইউট্যাব সভাপতি ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার এবং মহাসচিব অধ্যাপক তাহমিনা আখতার ছাড়াও বিবৃতিতে ৩০ শিক্ষক স্বাক্ষর করেন। শিক্ষকেরা বলেন, কঠোর-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে যতটুকু খবর প্রকাশিত হয় তাতে আমরা লক্ষ্য করেছি বেশ কিছু স্থানে নাশকতার সময় এবং নাশকতার প্রস্তুতিকালে সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা বিষ্ফোরকসহ হাতে নাতে ধরা পড়েছে। তাদেরকে আটক করার পরে বিচারের প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে কিনা এবং তাদের সাহায্যকারী ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে কিনা তা কখনই জানা যায়নি।এমন কার্যকলাপে সরকারের নাশকতার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব আন্দোলনরত দলসমূহের ওপর চাপানোর বিফল প্রচেষ্টা জনগণের কাছে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। আমরা বিশ্বাস করি গণআন্দোলনে শরীক ব্যক্তিরা কখনও জনগণের ক্ষতি করতে পারে না। এসকল নাশকতা জনবিচ্ছিন্ন কোনও গোষ্ঠির গণআন্দোলনের প্রতি জনগণের ঘৃণা তৈরি করার ব্যার্থ প্রচেষ্টা।এমএম/এএইচ/আরআই
Advertisement