বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের সঙ্গে বিদেশি খাতের এইচএসবিসি ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)। বুধবার চিঠি দেওয়া হয়েছে ব্যাংকটির ঢাকা অফিসকে। চিঠিতে বেশ কিছু তথ্য জানতে চেয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিএফআইইউকে জানাতে বলা হয়েছে।সূত্র বলছে, বুধবার ইমেইলে আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ থেকে এইচএসবিসির ঢাকা অফিসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যেমে প্রকাশিত খরচ আমলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, বাংলাদেশি ১৬ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০১ কোটি টাকা পাচারসহ অর্থ পাচারের জড়িয়ে পড়েছে ব্যাংকটি। যদিও যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই ব্যাংকটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এর আগেও ওঠেছে। অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে গুনতে হয়েছে জরিমানাও।জানতে চাইলে আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বুধবার তার দফতরে জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আজই চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি। দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে তাদের। সূত্র বলছে, বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট এ বিষয়ে স্থানীয় এইচএসবিসির কাছে কোনো তথ্য উপাত্ত আছে কিনা তা জানতে চেয়েছে চিঠিতে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক হংকং-সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) সহায়তায় কর ফাঁকি দিয়ে বিশ্বব্যাপী ১১ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার পাচার হওয়ার তথ্য গত দুই দিনে বিশ্বব্যাপী প্রধান প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বাংলাদেশিদের অর্থ পাচারের তথ্যটিও রয়েছে। এর মধ্যে একটি হিসাবেই পাচার করা অর্থের পরিমাণ ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার বা ৩৪ কোটি টাকা। ১৯৮৫ থেকে ২০০৭ সময়ের মধ্যে এই পাচারের ঘটনা ঘটেছে। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে। অবশ্য কারা এই অর্থ পাচার করেছে, সে তথ্য জানা যায়নি।ঢাকার এইচএসবিসির কাছ থেকে কোনো তথ্য-উপাত্ত পেলে দেশে বিদ্যমান বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের লঙ্ঘন সেখানে হয়েছে কি না, তা দেখা হবে। পরে তথ্য-উপাত্ত পেতে সুইজারল্যান্ডের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট এফআইইউর কাছে চিঠি পাঠানো হবে। বিধি মোতাবেক এফআইইউ বাংলাদেশকে তথ্য দিবে। কারণ তাদের সঙ্গে দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের চুক্তি রয়েছে।এসএ/বিএ/এমএস
Advertisement