প্রযুক্তিপণ্য উদ্ভাবনের চেয়ে নকলের দিক দিয়ে সবসময়ই এগিয়ে চীন। মানে যেমনই হোক না কেন, সব ধরনের প্রযুক্তিপণ্যই তৈরি করতে পারেন চীনারা।তবে উদ্ভাবনী ক্ষমতা না থাকায় দিনদিনই বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে পিছিয়ে পড়ছে এ দেশটি। আর নকল করার এ সংষ্কৃতি থেকে চীন কবে বেরিয়ে আসবে কিংবা বের হয়ে আসতে পারবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।যেকোন দেশের উন্নতমানের কোন প্রযুক্তিপণ্য, আর এর চীনা সংস্করণ থাকবে না, তা যেন হতেই পারে না। কারণ কোন কিছু নকলের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থানটা চীনারা গড়তে শুরু করেছে ১৯৮০ সাল থেকে, যখন দেশটিতে প্রাইভেট ফার্মের যাত্রা শুরু হয়।সেই থেকে আজ পর্যন্ত মানে যেমনই হোক না কেন, যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট অ্যাপলের আইফোন কিংবা অন্যান্য জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য, সবই তৈরি করছে চীনারা।সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশের অলিতে-গলিতে পাওয়া যাবে অ্যাপলের অন্তত ২১ টি দোকান। এসব দোকানে যেসব আইফোন বিক্রি হচ্ছে, তা দেখে বোঝার কোন উপায়ই নেই যে এগুলো চীনে তৈরি।একই ঘটনা ঘটেছে যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাট আবিষ্কারের ক্ষেত্রেও। প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে অর্থ আর সময় ব্যয় করে গবেষণা কিংবা উন্নয়নমূলক কাজের ধার ধারেন নি প্রযুক্তিপণ্যের পথ প্রদর্শকরা। উত্তরসূরিদেরই অনুসরণ করে চীনা উদ্যোক্তারা প্রস্তুত করছেন সিম্ফনি, মাইক্রোম্যাক্সের মতো ফোন। যেগুলোর ওয়ারেন্টি ১ বছর হলেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফোনগুলো।এআরএস/এমএস
Advertisement