মিয়ানমারে ফেরি দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরো ১৫৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। তবে এখন পর্যন্ত বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী ওই ফেরিতে নিজেদের গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের পরিচালক সা ওয়ালি ফ্রিয়েন্ট এএফপিকে জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে সাধারণ যাত্রী ছাড়াও ৭০-৮০ জন শিক্ষার্থী, ৩০ জন শিক্ষক এবং আরো বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ছিলেন।তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ২৫টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। ফেরিটিতে ২৪০-২৫০ জন যাত্রী ছিলেন। তবে ওই ফেরিটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ১০০’র বেশি বলে উল্লেখ করেন তিনি। ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে ১৫৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার হোমালিন থেকে মনিওয়া শহরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল ফেরিটি। পরে চিনদুইন নদীতে ফেরিটি ডুবে যায়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।ওই ফেরির চার কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ২৭ বছর বয়সী নারী হিনিন লেই বলেন, তিনি তার স্বামী এবং এক বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে ফেরিতে থাডিংউট অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার স্বামীর এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। টিটিএন/আরআইপি
Advertisement