সৌদি আরবে দক্ষ জনশক্তি রফতানি করতে বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তির আওতায় গৃহস্থালি কাজের জন্য ১২ ধরনের কর্মী সৌদি আরব যাওয়ার সুযোগ পাবেন।মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চুক্তি সই করা হয়।বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব খন্দকার মো. ইফতেখার হায়দার। সৌদি আরবের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন দেশটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাদ।চুক্তি স্বাক্ষর শেষে ইফতেখার হায়দার বলেন, গৃহ খাতে মোট ১২টি পেশা রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমরা নারী গৃহকর্মী পাঠানোর জন্য বেতন নির্ধারণ করেছি। সৌদি আরব নারী গৃহকর্মীদের থাকা খাওয়াসহ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছে।প্রসঙ্গত, নির্যাতনসহ নানা কারণে ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা এমনকি ইন্দোনেশিয়াও এখন আর সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠাতে রাজি হচ্ছে না। আর এই কারণেই সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে নারীকর্মী নিতে চাইছে। সোমবার প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, ২৫ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩১ হাজার ৫০০ টাকার নিচে কোনোভাবেই কর্মী পাঠাবে না বাংলাদেশ।মাত্র এক দিনের মাথায় এত কম টাকায় বাংলাদেশ কেন নারী গৃহকর্মী পাঠাতে রাজি হলো বাংলাদেশ জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, বেতন ১৬ হাজার ৮০০ টাকা হলেও থাকা-খাওয়াসহ সব সুযোগ সুবিধা পাবেন কর্মীরা। আর এ বেতন শুধু গৃহকর্মীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি খাতগুলোর বেতন এখনো ঠিক হয়নি।সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে আহমেদ আল ফাহাইদ বলেন, গৃহকর্মীদের অধিকারসহ অন্যান্য অধিকার রক্ষা করা হবে। কেউ আইন ভাঙলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।দীর্ঘ ছয় বছর পর সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে বিভিন্ন খাতে বিপুল পরিমাণ কর্মী দেশটিতে যাওয়ার আশায় আছে। তবে গৃহ খাত বাদে অন্যান্য খাতে কবে নাগাদ কর্মী যেতে পারবেন, সে ব্যাপারে এখনো কিছুই জানায়নি সৌদি আরব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমরা আশা করছি গৃহ খাতে কর্মী যাওয়া শুরুর পর এ বিষয়েও আমরা চুক্তি করতে পারব।এএইচ/আরআই
Advertisement