বিনোদন

সালমান শাহ`র অপমৃত্যু মামলা র‌্যাবকে তদন্তের নির্দেশ

প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ`র অপমৃত্যু মামলা র‌্যাবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সালমান শাহ`র মায়ের নারাজির প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘটনাটি ফের তদন্তের জন্য র‌্যাবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। ১৮ বছর আগের বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার মামলার বাদী নিহত সালমান শাহের মা নীলুফার চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরী আদালতে নারাজি আবেদনটি দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে বলা হয়, সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আদালতে বাদীর পক্ষে নারাজির আবেদন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহফুজ মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন। এ মামলার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে গত বছরের ৯ জুলাই ঢাকার মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্বিক তদন্তে এটি হত্যা প্রমানিত হয় না। এ ঘটনাটি একটি অপমৃত্যু। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১১/বি নিউস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসার নিজ কক্ষে সালমান শাহকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে প্রথমে হলি ফ্যামিলি ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে সালমান শাহ`র বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। মামলা প্রথমে রমনা থানা পুলিশ পরে ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির তদন্ত করেন। তদন্তে সালমান শাহর মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিবেদনে তারা সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে বর্ণনা করে। পরে সালমান শাহর পরিবার ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দিলে মরদেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তাদের প্রতিবেদনে, মরদেহ অত্যাধিক পচে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।এএইচ/পিআর

Advertisement