যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সখ্যতা বেড়ে যাওয়ায় ভারতের উপর কিছুটা ক্ষুব্ধ রাশিয়া। আর এ কারণেই কয়েকমাস ধরে পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে রাশিয়ার নতুন করে সখ্যতা স্থাপন করে আন্তর্জাতিক শক্তির সমীকরণ বদলের আভাস দেওয়ায় ভারতের উদ্বেগ বেড়েছে। মনে করা হচ্ছিল এতদিনের মিত্ররাষ্ট্র রাশিয়াকে ভারত হারাতে চলেছে। কিন্তু তা আর হতে দিলেন না মোদি। অনেকটা আচমকা রাশিয়াকে ভারতের পাশে রাখার জন্য বড় ধরনের সামরিক চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা রাশিয়াকে ৩৯ হাজার কোটি টাকার একটি সামরিক চুক্তি দিতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী মোদি। এমন একটি বড় চুক্তি নিয়ে গোটা বিশ্বেই বিস্ময় দেখা দিয়েছে।ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে আগামীকাল গোয়ায় ভ্লাদিমির পুতিন ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পরই ওই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। প্রতিরক্ষা চুক্তি কিংবা অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি তো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু এই চুক্তির বৈশিষ্ট্য কী যে স্বয়ং আমেরিকা অত্যন্ত তীক্ষ্ণ নজরে রাখছে এই গোটা প্রক্রিয়ার ওপর। এর কারণ অবশ্য আছে। কারণ হচ্ছে ভারত দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ অত্যাধুনিক সারফেস টু এয়ার এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম কিনতে যাচ্ছে। ন্যাটো গোষ্ঠীর দেশগুলির কাছে এর নাম ‘গ্রোনার’। আর রাশিয়া নাম দিয়েছে ট্রায়াম্ফ। এই বিশেষ মিসাইল সিস্টেম একসঙ্গে ৩০০টি টার্গেটকে লক্ষ্যভেদ করতে পারে এবং ৩৬টি টার্গেট একসঙ্গে ধ্বংস করতে পারে। সবথেকে তাৎপর্যবাহী বৈশিষ্ট্য হল ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেটকে অনায়াসে ধ্বংস করে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সব থেকে গর্বের ফাইটার জেট এফ ৩৫ ও এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম এর সামনে দাঁড়াতে পারবে না। চীন ও পাকিস্তান তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রও প্রবল উদ্বেগে পড়েছে। কারণ ভারতের হাতে এরকম অত্যাধুনিক ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম আসার সম্ভাবনায় একটি দুটি নয় ভারত একসঙ্গে পাঁচটি এরকম মিসাইল সিস্টেম ক্রয় করার চুক্তি করবে রাশিয়ার সঙ্গে। এই মিসাইল সিস্টেমে থাকবে ৮টি মিসাইল লঞ্চার, একটি কন্ট্রোল সেন্টার, র্যাডার এবং ১৬টি মিসাইল। যা তাৎক্ষণিক রিলোড করা যাবে।ভারতের সঙ্গে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ফেললে রাশিয়া ইচ্ছে করলেও আর চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না। কারণ ৩৯ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র বরাত পাকিস্তান কোনো দিনও রাশিয়াকে দিতে পারবে না। টিটিএন/এমএস
Advertisement