আইন-আদালত

রাডার ক্রয় : মামলায় সাক্ষীর বিষয় আদেশ ৭ নভেম্বর

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে বিমানের রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় নতুন করে সাক্ষী নেওয়া হবে কিনা এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৭ নভেম্বর (সোমবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ দিন ধার্য করেন।মামলাটি বর্তমানে আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য রয়েছে। দুদকের আইনজীবী মীর আব্দুস সালাম ২১ অক্টোবর মামলাটির নতুন করে সাক্ষী নেওয়ার জন্য আবেদন করেন।আবেদনে তিনি উল্লেখ্য করেন, মামলাটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। তাই ন্যায় বিচারের জন্য মামলাটির নতুন করে সাক্ষী নেওয়ার প্রয়োজন।আজ (বৃহস্পতিবার) এই আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য ৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করেন। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বিমানবাহিনীর তৎকালীন সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাইপাওয়ার রাডার ও দুটি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।তবে তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।এরশাদ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক রয়েছেন।জেএ/আরএস/পিআর

Advertisement