ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। বৃষ্টি শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে নির্ধারিত সময়ই ম্যাচটি গড়ায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরে গেছে চার উইকেটের ব্যবধানে। ওই ম্যাচের আলোচিত পাঁচ ঘটনা জাগো নিউজের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো: এক. বাংলাদেশের শুভ উদ্বোধন : সিরিজে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ভালো খেলেছেন! ইমরুল কায়েস তো একটি সেঞ্চুরিই করেছেন। তৃতীয় ওয়ানডেতে করেছেন ৪৫ রান। আর একই ম্যাচে তামিম ইকবাল ৪৬ রান করে বেন স্টোকসের কাছে ধরাশায়ী হন। এই ম্যাচে ৩৮ রান করার পর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান ড্যাশিং এই ওপেনার। এরপর সাব্বির রহমানও ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়েছেন (৪৯)। দুই. মুশফিকুর রহীমের রানে ফেরা: বেশ কিছু দিন ধরেই মুশফিকুর রহীমের ব্যাটে রান ছিল না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ফিফটি দিয়েই রানে ফিরলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। ওয়ানডেতে মুশফিকের এটি ২৩তম ফিফটি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে শেষ দশ ওভারে ৭৯ রান যোগ করেন মুশফিক।তিন. আদিল রশিদের বল কথা বলেছে : টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের স্পিনাররা সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন। যার বড় প্রমাণ আদিল রশিদের চার উইকেট। হাত ঘুরিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১০ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান। তিনি সাজঘরে ফিরিয়েছেন তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ ও নাসির হোসেনকে। এই দশ ওভারে ৩২ ডটবল দিয়েছেন আদিল রশিদ। চার. বাংলাদেশি বোলারদের ব্লিংস-ডাকেটের শাসন : সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে জেসন রয়ের পরিবর্তে স্যাম ব্লিংসকে দলে অন্তর্ভূক্ত করে ইংল্যান্ড। একাদশে ফিরেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন স্যাম। খেলেছেন ৬২ রানের মূল্যবান ইনিংস। এছাড়া তিন নাম্বারে নামা বেন ডাকেট ৬৩ রান করে দলকে জয়ের পথেই রাখেন। পাঁচ. ছয় মেরে স্টোকসের ম্যাচ ও সিরিজ জয়: অনেকটা চটে ছিলেন বেন স্টোকস। শফিউল ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। এই ছয়ে নিশ্চিয় হয় ইংলিশদের সিরিজ জয়ও। শেষ পর্যন্ত ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন স্টোকস।এনইউ/পিআর
Advertisement