অর্থনীতি

খেলাপি ঋণ কমে দাঁড়ালো ৫০ হাজার কোটিতে

কয়েক দফা বাড়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তদারকি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ওপরে সরকারের চাপে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ অবশেষে কিছুটা নিম্নমুখি হলো। গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের হার দাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৫০ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিলো ৫৭ হাজার কোটি টাকা যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ।আরো জানা যায়, ২০১৪ এর ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে মোট ও শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫৪ কোটি ও ৫৭ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।এদিকে, শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ডিসেম্বর শেষে মোট আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ২ হাজার ১২০ কোটি টাকা। তার মানে নিট আদায় আগের প্রান্তিকের চেয়ে প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি। প্রভিশন না করা নিট খেলাপি ঋণের হার ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিংয়ের নীতিমালা বিশ্বমানে উন্নীত করা, গুণমানের ঋণ প্রদান ও ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার প্রভাবে শ্রেণিকৃত ঋণের হার গেল বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কিছুটা বেড়েছিল। এ প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোকে ঋণ আদায়ে আরো মনোযোগী হতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রমাগত নির্দেশনা প্রদান এবং একইসঙ্গে সময়োপযোগী নীতি সমর্থনের কারণে শ্রেণিকৃত ঋণের হার এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকেও বেশ খানিকটা চাপ নিতে হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে সর্বক্ষণ গুণমানের ঋণ দেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিরন্তর তাগিদ দিয়ে আসছে। দেয়া ঋণ আদায়েও ব্যাংকগুলোকে নিরন্তর উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে ঋণ আদায়ের হারও বেড়েছে। এছাড়া, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনিচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়া বৃহদাঙ্কের ঋণগুলো পুনর্গঠনে একটি নীতিমালা জারি করেছে। এ নীতিমালার কার্যকর প্রয়োগে সামনের প্রান্তিকে শ্রেনিকৃত ঋণের হার আরো কমে আসবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে।এসএ/আরএস

Advertisement