খেলাধুলা

ভাগ্যকেই দুষলেন মাশরাফি

আদিল রশিদ ও মঈন আলির মতো গড়পড়তার স্পিনাররা যখন উইকেট থেকে বড় টার্ন পাচ্ছিলেন তখন আশায় বুক বেঁধেছিল বাংলাদেশ। কারণ সাকিব আল হাসানসহ পাঁচজন স্পিনার রয়েছেন দলে। কিন্তু ইংলিশদের ইনিংসে বাংলাদেশি স্পিনাররা টার্ন তো দূরের কথা উল্টো শিশিরের কারণে স্বাভাবিকভাবে বল গ্রিপ করতে পারেননি। ফলে সিরিজ হারের বেদনা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। টস হার এবং অতিরিক্ত শিশির আর ক্যাচ মিসের কারণে ম্যাচ হারতে হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহেমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শেষ ম্যাচটা আমরা এখানে জিতেছিলাম। একদম একই ধরনের উইকেট। একই অবস্থা হয়েছে। প্রথমে উইকেট টার্ন পাচ্ছিলাম, এরপর ব্যাটে বলে ভালো আসছিল। আমরা অবশ্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ইংল্যান্ডকে। তারা ভালো খেলেছে, খুব ভালো হ্যান্ডেল করেছে। আমি বলবো আমরা অনেক দুর্ভাগা। আজকের ম্যাচে বিশেষ করে স্পিনাররা যখন বোলিংটা করতে পারেনি।’‘আজকে যেমন উইকেট ছিল, শিশিরের কারণে বোলাররা কোনো টার্ন পাচ্ছিলেন না। এই কারণে পেস বোলারদের বোলিং করতে হয়েছে। খুব সহজ হয়ে গিয়েছিল ওদের। যেটা ওদের খুব কঠিন হওয়ার কথা ছিল। ২৭৭ অনেক বড় রান। শুধুমাত্র যতটুকু শিশির পড়েছে, তার অর্ধেকও যদি পড়তো। আমি নিশ্চিত এটা অন্যরকম ম্যাচ হতো। আজকে যদি আমরা আগে বোলিং করতাম সংবাদ সম্মেলনে আমি পড়ে আসতাম। আমার কাছে তাই মনে হয়।’ যোগ করে আরও বলেন অধিনায়ক।এদিন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন। ওপেনিং জুটিতে ৮০ রান সংগ্রহের পর ম্যাচে এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল ৩০০ রান হয়ে যাবে বাংলাদেশের। কিন্তু মাঝখানে দ্রুত বেশকিছু উইকেট হারিয়ে তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে স্কোর আরেকটু বড় হলেও সুযোগ থাকতো বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘আমাদের সুযোগ ছিল ৩০০ প্লাস করার মতো। একটা পর্যায়ে আমাদের এই সুযোগ ছিল। যখন স্পিনে টার্ন হয় না, তখন পেসারদের উপরই নির্ভর করতে হয়। শিশির হলে এই উইকেটে বোলিং করা কঠিন, বিশেষ করে স্পিনাদের জন্য খুব কঠিন।’এদিন ম্যাচের শেষ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্রিস ওকসের ক্যাচ মিস করেন ইমরুল। সে ক্যাচটি মিস না হলেও কিছুটা সুযোগ পেতেন বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘ক্রিকেটে তো অনেক কিছুই হতে পারে। কারণ ওটা পড়লে হয়তো ৭টা পড়তো। যেকোনো কিছুই হতে পারে। ড্রপ ক্যাচ হয়ে গেলে কিছুই করার থাকে না। আবার ক্রিকেটে এটাও বলে.. ওই সময় ক্যাচটা হলে ভালো দুটি বলে দুটি উইকেট চলেও যেতে পারতো। হয়তো স্টোকসের উপর চাপটা আরো বাড়তো। তারপরও যারা ছিল তারা ব্যাটিং পারলেও চাপটা বড় ব্যাপার। ক্যাচটা ধরতে পারলেও হয়তো আরো একটা সুযোগ পাওয়া যেতো।’উল্লেখ্য, এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৫৩ বল বাকি থাকতে চার উইকেটে ২৭১ রান করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষদিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় অবিশ্বাস্যভাবে উল্টো ২১ রানে হেরে যায় সে ম্যাচ।আরটি/বিএ

Advertisement