ধর্ম

পবিত্র আশুরা আজ

১৪৩৮ হিজরির মহররম মাসের ১০ তারিখ আজ (বুধবার)। মুসলিম উম্মাহর নিকট এ দিনটি আশুরা হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। আজ পবিত্র আশুরা। সৃষ্টির শুরু থেকেই এ দিনটি বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাসহ কারবালার শোকাবহ ঘটনার জন্য বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহ দ্বীন প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা, ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র একটি দিন।বিশেষ করে আজ থেকে ১ হাজার ৩৭৭ বছর পূর্বে ৬১ হিজরির মহররম মাসের ১০ তারিখ প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কুফা যাওয়ার পথে কারবালার ঐতিহাসিক প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন। এ জন্য মুসলিম উম্মাহর নিকট এ দিনটি অত্যন্ত শোকের মাস হিসেবে পরিগণিত।তাছাড়া ১০ মহররম আশুরার দিন মহান আল্লাহর নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয় একটি দিন। কেননা এ দিনে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো সংঘটিত করেছেন। এ দিনেই তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এদিনেই কিয়ামত তথা মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে। এর মাঝে সকল নবী-রাসুলদের সময়ে অসংখ্য ঘটনা ১০ মহররম আশুরার দিন সংঘটিত হয়েছে।হজরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু তার পরিবার এবং সঙ্গীগণসহ দ্বীন প্রতিষ্ঠার মানসে কুফায় গমনের পথে কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে শাহাবাদ বরণ করেন। এ ঘটনার স্মরণে মুসলিম উম্মাহ এ দিনটি যথাযথ মর্যাদায় ইবাদাত-বন্দেগি ও রোজা পালনের মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক নবী-রাসুলের পরীক্ষা নিয়ে এ দিন (১০ মহররম আশুরা) উত্তীর্ণের ঘোষণা দেন। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শান্তি ও সম্প্রীতির মানদণ্ডে আশুরার তাৎপর্য, গুরুত্ব ও মর্যাদা অত্যাধিক। এ কারণে বিশ্বব্যাপী এ দিনটি দলমত নির্বেশেষ মুসলিম উম্মাহ যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করে থাকেন।পরিশেষে...ইসলামের সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে এবং আল্লাহর জমিনে তাঁর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে এ দিনের তাৎপর্য, গুরুত্ব এবং মর্যাদা উপলব্দি করে উত্তম প্রতিষ্ঠায় তা বাস্তবায়ন করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের দাবি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল ত্যাগ ও ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজে তা বাস্তবায়ন এবং ইবাদাত-বন্দেগি করে তাঁর নৈকট্য অর্জন ও ক্ষমা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরএস

Advertisement