আন্তর্জাতিক রুটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হলো বোয়িং। অামস্টারডামের এয়ার ক্যাপ কোম্পানি থেকে লিজে আনা প্রথম বোয়িংটি মঙ্গলবার দুপুরে হযরত শাহজালাল অান্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে এভিয়েশনের নিয়মানুযায়ী সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে ওয়াটার গার্ড স্যালুট প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের আকাশসীমা থেকে উড়বে এ সুপরিসর বোয়িংটি।সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বোয়িংয়ের যাত্রাকে ‘দিগন্ত জয়ের স্বপ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।তিনি বলেন, অত্যাধুনিক এই এয়ারক্র্যাফট দিয়ে কলকাতা, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, মাস্কাট, দোহা, গুয়াংজো, কুনমিংসহ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ২০১৪ সালে দুটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্র্যাফট নিয়ে বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। পরে সংযোজন ঘটে আরো একটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্র্যাফটের।এছাড়া আকাশ পরিবহন সংস্থার বহরে চলতি মাসের ২২ তারিখ নতুন প্রজন্মের আরো দুটি বোয়িং-৭৩৭-৮০০ এয়ারক্র্যাফট যুক্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এলো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স- এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স উন্নত যাত্রীসেবা ও টাইমিংয়ের বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করে না। যে কারণে প্রতিষ্ঠার দুই বছরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ডমেস্টিক সেক্টরে ‘বেস্ট এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার-২০১৫’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে ইউএস-বাংলা। এছাড়া বাংলাদেশ ট্রাভেলার্স ফোরাম কর্তৃক পরপর দুই বছর ‘বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার-২০১৪ ও ২০১৫’ নির্বাচিত হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি।ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ডিভিশন অব কর্পোরেশনের একমাত্র তালিকাভুক্ত বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স কোম্পানি। যার ইন টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড শতকরা ৯৮.৭ ভাগ বলেও উল্লেখ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দ্রুতগতিসম্পন্ন ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্র্যাফট দিয়ে বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রা করে ইউএস-বাংলা। বর্তমানে ৭৬ আসনবিশিষ্ট তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্র্যাফট রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের। দুই বছরের অধিক সময়ে ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা রুট ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুট মিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজারের অধিক ফ্লাইট সফলভাবে পরিচালনা করেছে ইউএস-বাংলা। নতুন যুক্ত হতে চলা বোয়িং এয়ারক্র্যাফটের ১৫৮ আসনের মধ্যে রয়েছে ৮টি বিজনেস ক্লাস, প্রিমিয়াম ইকোনমি ও ইকোনমি ক্লাস।এছাড়া ‘ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরো দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্র্যাফট বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অত্যাধুনিক এই তিনটি এয়ারক্র্যাফট দিয়ে কলকাতা, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, মাস্কাট, দোহা, গুয়াংজো, কুনমিংসহ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।আরএম/আরএস/আরআইপি
Advertisement