৩৫তম বিসিএসে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ১০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৫৩৩ জন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৫ হাজার ৫৩৩ জনের মধ্যে ২ হাজার ১৫৮ জনকে ক্যাডার এবং ৩ হাজার ৩৫৯ জনকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করে পিএসসি। বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৬০-৭০ হাজার পদ শূন্য। সরকার নন-ক্যাডার পদগুলো বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ২০১১ সালে ‘নন-ক্যাডার বিধিমালা-২০১০’ করে যার মাধ্যমে পিএসসি শূন্য ৫০ শতাংশ পদে নিয়োগ দিতে পারে। বিধিমালা মতে, জনস্বার্থে ও জরুরি প্রয়োজনে বিসিএস পাস করা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার সব শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া যেত। এখন ‘জনস্বার্থে ও জরুরি প্রয়োজনে’ শব্দ দুটি উঠিয়ে দিয়ে নন-ক্যাডার সব শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া যেত। এমন বিধান রেখে নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরে শূন্য পদ কত, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছে পিএসসি। গত ৩০ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলমের কাছে চিঠি পাঠান পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর ও অধিদফতরের বর্তমান শূন্য পদ কত তা পিএসসিকে জানাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। ফলে সরকারে সব স্তরে মেধাবী তরুণদের পদায়নের ফলে সরকারি কাজে দক্ষতা ও গতিশীলতা বাড়বে, যা বাংলাদেশের মতো নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের জন্য খুবই জরুরি। বর্তমানে পিএসসি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এর চেয়ে ১১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পাস করা একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী সেই পদের জন্য যথোপযুক্ত নয় কি? ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৩ হাজার ৩৫৯ জনকে নন-ক্যাডারে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চাকরির জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। নন-ক্যাডারে নিয়োগের মাধ্যমে হয়তো দূর হতে পারে আমাদের অভিশপ্ত বেকার জীবনের। লেখক : ৩৫তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থী।এসইউ/এবিএস
Advertisement