স্বাস্থ্য

প্রশ্নপত্র ফাঁসের বদনাম ঘুচিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

মেডিকেল ভর্তির পরীক্ষার সুষ্টু পরিবেশের ইমেজ পুনরুদ্ধার করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিগত কয়েক বছর ধরে মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।তবে এবারে পরীক্ষা সুষ্টুভাবে সম্পন্নের মাধ্যমে হারানো ইমেজ ফিরিয়ে এনেছে মন্ত্রণালয়।   প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে প্রতি বছর শত শত পরীক্ষার্থীর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম,  স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি ও আল্টিমেটাম দিয়ে আমরণ অনশনের দৃশ্য ছিল নিয়মিত। কিন্তু এবারই প্রথম পরীক্ষার আগে ও পরে কেউ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেনি। এছাড়া প্রায় ৭২ ঘণ্টা পার হলেও  ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ না হওয়ায় কারও মুখ থেকে নেতিবাচক কোন কথা শোনা যায়নি।  একাধিক চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞের মতে, অতীতে বদনাম  থাকলেও গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিতর্কহীনভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বদনাম ঘুচিয়ে সুনাম অর্জন করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ বছর শুরু থেকেই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে তৎপর ছিলো মন্ত্রণালয়। অতীতে যে সব জায়গা থেকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল কিম্বা গুজব ছড়াতো সে সব জায়গায় সর্বোচ্চ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে তা বন্ধ করা হয়। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে শুরু করে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পাঠানো ও ফেরত আনার ক্ষেত্রে বিশেষ ডিভাইস সম্বলিত ট্রাংকের ব্যবহার করা হয়।এবার পরীক্ষা কমিটিতে বিএমডিসি ও বিসিপিএসের প্রতিনিধিদের সদস্য করা হয়। এছাড়াও এবার প্রথমবারের মতো ওভারসাইট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা শিক্ষক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সিনিয়র অধ্যাপক, বিএমএর চিকিৎসক নেতা, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও প্রাবন্ধিকদের অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ওভারসাইট কমিটির সদস্য বিএমডিসির প্রতিনিধি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে এবার ভর্তি পরীক্ষা কমিটি, ওভারসাইট কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিকভাবে কাজ করার ফলেই বিতর্কহীন পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৮৬ হাজার ৮৯৫ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। ১৮টি মেডিকেল কলেজের ৩৭টি কেন্দ্রে মোট অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮২৮ জন। বর্তমানে সরকারি কলেজে আসন সংখ্যা ৩ হাজার ২১২ এবং বেসরকারি কলেজে ৬ হাজার ২০৫ টি।এমইউ/এএইচ/এবিএস

Advertisement