আফগানিস্তানের সাথে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও এমন হয়েছিল। সফরকারী আফগানদের উইকেট চিনতে ভুল না হলেও স্বাগতিক বাংলাদেশ ঠিকই উইকেট চিনতে ভুল করে বসে। আর সে কারণেই ওই ম্যাচে হেরে যায় টাইগাররা।কাকতালীয়ভাবে আজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচেও উইকেটের গতি-প্রকৃতি বুঝে ব্যাট চালাতে ব্যর্থ হয় টাইগারা। তবে ২৮ সেপ্টেস্বরের সাথে আজকের ম্যাচের পার্থক্য একটাই। এদিন স্লো ট্র্যাক ঠাউরে ব্যাট চালাতে পারেনি বাটলারের দলও। ‘মাইনাসে মাইনাসে’ যেমন প্লাস। তেমনি ভুলে ভুলে কাটাকাটি। এবার জয়ী স্বাগতিকরাই।প্রথম দিন নির্ভেজাল ব্যাটিং ট্র্যাকে ২৭০ প্লাস রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেটকেও ঠিক অমন ফ্ল্যাট ও ব্যাটিং ফ্রেন্ডলিভেবে নেমেছিলেন তামিম, সৌম্য, সাব্বির, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক ও সাকিবরা। আসলে প্রথম খেলার তুলনায় ২৮ সেপ্টেম্বরের পিচ ছিল তুলনামূলক স্লো। আজ একই ভুল হলো ইংলিশদের। অবশ্য প্রথম ভুলটা স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরাই করেছিলেন। বল একটু থেমে ব্যাটে এসেছিল। তেড়েফুড়ে শটস খেলার জন্য আদর্শ পরিবেশ ছিল না। হাত খুলে ফ্রি স্ট্রোক প্লে মানে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটানোর পিচ সেটা ছিল না। তার বদলে রয়ে সয়ে সিঙ্গেলস-ডাবলসে খেলে পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার পর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে তারপর শটস খেলা গেছে। কিন্তু প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানরা সেটাকেও ২৭০ এর উইকেট ভেবে ভুল করে বসেন। এমন নয় বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার উইকেটের চরিত্র ও গতি একদম বুঝতেই পারেননি। তামিম, সৌম্য, মুশফিক, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ উইকেটের চরিত্র বুঝেছিলেন ঠিকই, কিন্তু স্লো উইকেটে যেভাবে ঠান্ডা মাথায় বলের গতি ঠাউরে খেললে সফল হওয়া যায়- তা করেননি। সেই না করার মাশুল- ২০৪ রানে অলআউট। খেলা শেষে অধিনায়ক মাশরাফি জানিয়ে দেন, এ উইকেটে ২৭০-২৮০ রান করা মোটেই সহজ ছিল না। এটা আসলে ছিল ২৩০ এরই উইকেট। ঠিক ১১ দিন পর একই মাঠে প্রায় অনুরূপ ঘটনা ঘটল। আবার উইকেটের চরিত্র ঠিকমত না ঠাউরে ব্যাট চালানো। আর তাতেই তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিমের মত নির্ভরযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান অল্প সময় ও সংগ্রহে সাজঘরে। একই মাঠে পাশের উইকেটে ৪৮ ঘন্টা আগে ৩০৯ রানের বড়-সড় স্কোর গড়েছিল ইংলিশরা। জবাবে বাংলাদেশ প্রায় টপকেই গিয়েছিল সেদিন। ইমরুল ও সাকিব ইচ্ছেমত খেলেছেন। যে বলকে যেদিক দিয়ে খেলতে চেয়েছেন, সেটাই পেরেছেন। আজ রোববার যে পিচে খেলা হয়েছে, সেটাকেও অমন ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি ট্র্যাক ভেবে প্রথম ভুল করলেন টাইগাররা। তারা ভাবলেন, এটাও বুঝি ৩০০ রানের পিচ। আসলে এটা ছিল ২৫০/২৬০ রানের ট্র্যাক। শুরুতে ওই ভুল করে ব্যর্থতার মিছিলে অংশ নিলেন তামিম, ইমরুল, সাব্বির, মুশফিক ও সাকিব। আগের ম্যাচে পাশের উইকেটে বল চমৎকার গতি ও ভাল উচ্চতায় ব্যাটে এসেছে। আজও আসবে। এই ভেবে ব্যাট চালিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তারা। প্রত্যাশার চেয়ে বল একটু থেমে আসায় টাইমিংয়ে গরমিল। তামিম, ইমরুল ও মুশফিক পুল খেলতে গিয়ে আকাশে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন। শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরফি, মোসাদ্দেক সৈকত আর নাসিরের দৃঢ়তায় ২৩৮ এ গিয়ে থামা। এর পর মাশরাফি, সাকিব ও তাসকিনের সাঁড়াশি বোলিংয়ে জয়ের দেখা মিললো। পাশাপাশি উইকেটের গতি ও চরিত্র না বুঝে ইংলিশদের ব্যাট ছোড়াও হয়েছে বিপদের কারণ। এআরবি/আইএইচএস/এএম
Advertisement