দুই বাংলায় বেশ জনপ্রিয় জয়া আহসান। শেষ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে জয়া আহসান রুটিন করে ঢাকা-কলকাতায় বসবাস করছেন। তিন মাস ঢাকার ইস্কাটনের বাসা তো বাকি তিন মাস কলকাতার সল্ট লেকের বাসা। বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন জয়া। উদ্দেশ্য পূজা উৎসব। কলকাতা শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরছেন জয়া। সেখানকার পূজা নিয়ে ‘২৪ ঘণ্টা’ নামের একটি চ্যানেলের রিয়্যালিটি শো-তেও বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন জয়া। রোববার পশ্চিমবঙ্গের প্রথমসারির গণমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশ হওয়া একটি খবরে অনুলিখন আকারে প্রকাশ করা হয় জয়া আহসানের পূজা নিয়ে নানা অভিজ্ঞতার কথা। সেই অভিজ্ঞতায় জয়া জানিয়েছেন, পুরান ঢাকার পূজা উৎসব খুব মিস করেন তিনি। জয়া বলেন, ‘দুর্গা পূজায় কোথায় থাকব কলকাতা না বাংলাদেশ- এ নিয়ে প্রতি বছরই আমার নিজের মধ্যে একটা দ্বিধা চলতে থাকে। একদিকে, আমার চেনা পূজার পরিবেশ। তার বিশালতা না দেখলে আপনারা বিশ্বাস করবেন না। আর অন্যদিকে এমন একটা শহর, যেখানকার পুজা দেখবেন বলে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। কলকাতা। এখানকার পুজোর অসাধারণ আয়োজন দেখার অভিজ্ঞতা আমার আগেও হয়েছে। তাই সেটা চট করে মিস করতে চাই না। পুজার কলকাতায় কত মানুষ, কত সাজগোজ আমার দেখতে ভারী ভাল লাগে।’রাজাকাহিনীর এই অভিনেত্রী বলেন, ‘একবার কী হয়েছে জানেন? পুজার মধ্যে কোনো একটা দিন, বেরিয়েছিলাম কোনো একটা কাজে। শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। ফেরার সময় কী অবস্থা ভাবতে পারবেন না। কী ভিড় রাস্তায়, কত লোক সেজেগুজে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে, এত জ্যাম আমার গাড়ি একচুলও নড়ছে না। একই জায়গায় আটকে রয়েছি বহুক্ষণ। তারপর কী করব, কী করব- ভাবতে ভাবতে মনে হল একটা রিস্ক নিয়ে দেখাই যাক না! নেমে পড়লাম গাড়ি থেকে। হাঁটতে শুরু করলাম। সেদিন পুজার কলকাতা দেখতে দেখতে অনেক রাতে হেঁটে বাড়ি ফিরেছিলাম। অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’ ঢাকার পূজা নিয়ে জয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকলে পুরনো ঢাকার ঢাকেশ্বরীতে মন্দিরে যাই। ওখানে অনেক বড় পূজা হয়। দেখা হয় বন্ধুদের সঙ্গে। প্রচুর গিফটও পাই। এখন আনন্দের অনেক কিছুই কমে গেছে। খুব মিস করি পুরান ঢাকা পুজার সেইসব দিন।’সবশেষে গেরিলাখ্যাত এই অভিনেত্রী জানান, ‘ফেস্টিভ সিজন মানে সেটা ঈদ হোক বা দুর্গাপূজা, ডায়েট একদম ফলো করি না। ঠাকুরকে লুচি, খিচুড়ি যে ভোগই দেওয়া হোক চেটেপুটে খাই। এসব খাবার একদম মিস করতে চাই না। আবার পূজা মানেই যেসব সময় শাড়ি পরতে হবে, এটাও মনে করি না। ধরুন ষষ্ঠীতে কুর্তির সঙ্গে ওয়ের্স্টান কিছু পরলাম। সপ্তমীর সকালে সুদিং কালারের হালকা কোনো শাড়ি স্লিভলেস ব্লাউজ দিয়ে পরব। হলুদ আমার ফেভারিট কালার। তবে পূজার দিনে যে কোনো প্যাস্টেল শেডই ভাল মানাবে। তবে শাড়ির পাশাপাশি ইন্দো-ওয়ের্স্টানও পরব। আমার পার্সোনাল পছন্দ ওটাই। লোকজন আর সাজগোজ দেখতে দেখতেই কাটবে আমার দুর্গাপূজা।’এনই/এলএ/আরআইপি
Advertisement