রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম সে ব্যক্তি ঈমানদার নয়, আল্লাহর কসম সে ব্যক্তি ঈমানদার নয়। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কে সেই ব্যক্তি? জবাবে তিনি বললেন, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকতে পারে না। বিশ্বনবির এ হাদিসটি প্রতিবেশীর অধিকারে হস্তক্ষেপকারীর জন্য মারাত্মক অভিশাপ।বিশ্বনবির হাদিস অনুযায়ী পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে প্রতিবেশীর প্রতি যথাযথ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা জরুরি। তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, তাদের মঙ্গল কামনা করা, তাদের কোনো প্রকার কষ্ট বা যন্ত্রণা না দেয়া, সাধ্যানুযায়ী তাদের উপকার করা, গরিব প্রতিবেশীকে দান করা এবং অভুক্ত প্রতিবেশীকে খাবার দিয়ে সাহায্য করা একজন প্রকৃত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ঐ ব্যক্তি ঈমানদার নয় যে তৃপ্তিসহকারে খাবার খায় অথচ পাশে তার প্রতিবেশী পড়ে থাকে অভুক্ত অবস্থায়। (বাইহাকি)তাই সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেক প্রতিবেশীরই সুন্দর এবং উত্তম সহাবস্থান ঈমানের দাবি রাখে। উল্লেখিত হাদিসের আলোকে বুঝা যায়->> ঐ প্রতিবেশী উত্তম যার প্রতি তার প্রতিবেশী সব দিক থেকে ভরসা করতে পারে। এমন যেন না হয়, প্রতিবেশীর সম্পর্কে কখনো এমন কথা না বলাই উত্তম যে, হঠাৎ করে সেই প্রতিবেশী তথায় উপস্থিত হলে কথপোকথনকারীদের চুপ করে থাকতে হয়। অথবা প্রতিবেশী তাদের আলোচনা জেনে ফেললে লজ্জা পেতে হয়।>> প্রতিবেশীরা যেন পরস্পরকে বিশ্বাস করতে পারে। একজন প্রতিবেশী তার অপর প্রতিবেশীর দ্বীনদারিত্বের ব্যাপারে এতটুকু আশ্বাস্ত থাকতে পারে যে, যদি কখনো কোনো প্রতিবেশী তার মূল্যবান বস্তু বা সম্পদ প্রতিবেশীর ঘরে ভুলে ফেলে রেখে চলে আসে, তবে ঐ প্রতিবেশী যেন তার মূল্যবান বস্তু বা সম্পদ হরণ না করে। অর্থাৎ এক প্রতিবেশী যেন অপর প্রতিবেশীর নিকট নিশ্চিন্তে ধন-সম্পদ হিফাজাতে রাখতে পারে।পরিশেষে...প্রতিবেশীর প্রতি উত্তম আচরণের গুরুত্ব বুঝতে বিশ্বনবির এ ছোট্ট হাদিসটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জিবরিল (আলাইহিস সালাম) আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে (এত বেশি) তাগিদ দিচ্ছিলেন যে, আমার মনে হচ্ছিল তিনি তাদেরকে (প্রতিবেশী) আমার ওয়ারিশ বানিয়ে দিবেন। (বুখারি-মুসলিম ও মিশকাত)আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকলকেই সর্বোত্তম প্রতিবেশীর চরিত্র অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement