অর্থনীতি

চীনা বিনিয়োগ আরো বাড়বে : বাণিজ্যমন্ত্রী

পদ্মা রেল সেতু, কর্ণফুলী টানেল, গার্মেন্টস পল্লীসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করছে। আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে চীনা বিনিয়োগ আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব: প্রাপ্তি ও প্রত্যশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা তিনি এসব কথা বলেন।গোলটেবিল আলোচনাটির আয়োজন করে সাংবাদিক সংগঠন ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন তৈরি করছে। এর মধ্যে ২০টির কাজ শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি চীনকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। পদ্মা রেল সেতু, কর্ণফুলী টানেল, গার্মেন্টস পল্লীসহ বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করছে।  মন্ত্রী বলেন, চীনের ঋণে সুদের হার বেশি এটা ঠিক না। তবে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবির লোনের চেয়ে একটু বেশি। তবে এই ঋণের একটি অসুবিধা রয়েছে, তা হলো চীনের ঋণ টেন্ডারবিহীন।  তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শীতার কারণে ভারত চীন, ইইউ, ইউএসএ, রাশিয়াসহ সবার সাথে সুসস্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন উচ্চস্তরে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীন এক নম্বর বন্ধু।তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগামী ১৪ অক্টোরর চীনের প্রেসিডেন্ট আসছেন। তার এই সফরের মাধ্যমে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।রাজনীতির পথ ও মতের ভিন্নতা থাকতে পারে তবে অর্থনীতিতে পথ মত ভুলে এক হতে পারলে দেশ লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চীনের সাথে বাংলাদেশের ১১ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য রয়েছে। এর মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি থাকলে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা অনেক দেশ কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছি। তাই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে একটু ধীরে এগোচ্ছি। তিনি বলেন, গত ৩ মাসে চীনের সঙ্গে রফতানি প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে আমাদের জাতীয় গড় প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ।  আলোচনা আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।এমএ/এনএফ/এবিএস

Advertisement