কুরআন আল্লাহর কিতাব। যা পালন করা মানুষের জন্য আবশ্যক কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনে জীবন্ত উদাহরণ। তিনি তাঁর উম্মতের জন্য যে নির্দেশগুলো সবসময় মেন চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন, সে সম্পর্কে হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নসিহত করেছেন। উপদেশমূলক গুরুত্বপূর্ণ এ হাদিসটি তুলে ধরা হলো-হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমি একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে (আরোহী) ছিলাম। তিনি বলেন, হে বালক! তোমার আমালের জন্য আমি তোমাকে কিছু (উপদেশমূলক) কালিমা শিখিয়ে দিচ্ছি-১. আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধানের হিফাজত করবে; তাহলে তিনি তোমার হিফাজত করবেন।২. আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির ব্যাপারে সর্বদা খেয়াল রাখবে; তাহলে তাঁকে তুমি তোমার সামনে পাবে।৩. যখন (তোমার) সাহায্যের প্রয়োজন হবে; তখন আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাইবে।জেনে রাখবে-৪. (গোটা দুনিয়ার) সব লোক যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়, তবে আল্লাহ তাআলা তোমার তাকদিরে (ভাগ্যে)যা লিখে রেখেছেন; সে টুকু ছাড়া অন্য কেউই (দুনিয়ায়) তোমার (কম-বেশি) উপকার করতে পারবে না।৫. আর যদি (দুনিয়ার) সব লোক একত্রিত হয়ে তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে; সে ক্ষেত্রেও আল্লাহ তাআলা তোমার তকদিরে (ভাগ্যে) যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, তা ছাড়া (কম-বেশি) কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না।কেননা কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে আর কাগজগুলো শুকিয়ে গেছে। (তিরমিজি) উল্লেখিত হাদিস মুসলমানের ঈমানকে মজবুত করার অন্যতম হাতিয়ার। পরকালীন মুক্তির উপায়। যারা এ হাদিস অনুযায়ী আমল করবে, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের মুক্তি ও কল্যাণ অবধারিত।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement