একুশে বইমেলা

বইমেলা : প্রথম সপ্তাহে মোট বইয়ের সংখ্যা ৮৮০

অমর একুশে বইমেলা এক সপ্তাহ পূরণ করলো শনিবার। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বইমেলার ঝাঁপ সকাল ১১টায় খুলেছে। এদিকে ছুটির দিন থাকায় কবি, সাহিত্যিকসহ একাধিক মন্ত্রীকে মেলায় দেখা গেছে।অন্যান্য দিনের মত শনিবারও শিশুপ্রহর থাকায় সকাল থেকেই শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের ভিড় মেলায় লক্ষ্য করা গেছে। এতে প্রকাশক ও বিক্রেতারা বেশ খুশি। তারা জানান, হরতাল-অবরোধ কখনই বইমেলাকে প্রভাবিত করতে পারেনি, তার প্রমাণ এবারও পাওয়া গেছে। এবারের মেলায় আজ  (শনিবার) ও গতকাল (শুক্রবার) সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।মেলার এই সাত দিনে মোট বই এসেছে ৮৮০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে উপন্যাস, যার সংখা ১৮১টি। এর পরেই আছে কবিতা ১৭৯টি, গল্প ১৩২টি, প্রবন্ধ ৫৯টি, ছড়া ৩৪টি, জীবনী ২৮টি, শিশুতোষ ২৭টি, বিজ্ঞান ২৫টি, গবেষণা ২২টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ ১৯টি উল্লেখযোগ্য।শনিবার মেলায় এসেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যোগাযোগ মন্ত্রী দ্বিতীয়বারের মত মেলায় এসেছেন এবং তার প্রকাশিত বইয়ের স্টল সময় প্রকাশনে বসে পাঠকদের অটোগ্রাফ দিয়েছেন।শিশু প্রহরশনিবার শিশু প্রহর থাকায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই শিশুদের কলরব শুরু হয়ে যায় মেলার একাডেমি চত্বরে। অমর একুশে উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি শিশুকিশোরদের জন্য আয়োজন করেছে সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার। এ প্রতিযোগিতায় ক-শাখার সাধারণ জ্ঞান বিভাগে ৮০ জন প্রতিযোগী এবং খ-শাখার উপস্থিত বক্তৃতা বিভাগে ১৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিচারক ছিলেন- নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, বাংলা একাডেমির পরিচালক মোবারক হোসেন এবং উপ-পরিচালক মুর্শিদুদ্দিন আহম্মদ।নতুন বইমেলার সপ্তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৯৮টি। এর মধ্যে কবিতা ৪১টি, উপন্যাস ৪০টি, গল্প ৩৯টি, প্রবন্ধ ৮টি, গবেষণা ৭টি, ছড়া ৭টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৬টি বই উল্লেখযোগ্য। এছাড়া শনিবার আরো ১০টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে ঐতিহ্য এনেছে খসরু চৌধুরী রূপান্তরিত জিম করবেটের ‘মন্দিরের বাঘ এবং কুমায়ুনের মানুষ খেকো ও মিছিল খন্দকারের ‘মেঘ সামান্য হাসো’, শামীম পাবলিশার্স এনেছে আলী ইমামের জীবনী গ্রন্থ ‘সাত বীরশ্রেষ্ঠ’, অনিন্দ প্রকাশ এনেছে হায়াৎ মামুদের ‘বায়ান্নর সেই ছেলেটি’, ‘বিজয়ের কথা’ ও ‘ছোট দুখুর বড় হওয়া’ প্রভৃতি।মূলমঞ্চবিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক জন্মশতবর্ষ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. মীজানুর রহমান শেলী ও অধ্যাপক মেসবাহ কামাল।সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’র শিল্পীরা আবৃত্তি পরিবেশন করেন। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী অরূপ রতন চৌধুরী, নীলোৎপল সাধ্য, শাহনাজ নাসরীন ইলা, ছায়া রাণী কর্মকার, সুস্মিতা আহমেদ, পল্লব গোমেজ, শাহনাজ পারভীন এবং শাহিন আকতার পাপিয়া।আরএস/পিআর

Advertisement