জাতীয়

ক্যান্সার প্রতিরোধে জনসচেতনতা প্রয়োজন

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য দেশব্যাপী জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রতি বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। ধুমপানের মতো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলো ত্যাগ করলে ক্যান্সোর প্রতিরোধে সহায়ক হবে। এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিষয়গুলো থেকে জনসাধারণকে দূরে রাখতে দেশব্যাপী জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।শনিবার রাজধানীতে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০১৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় একথা বলেন মো: আসলামুল হক এমপি।মো: আসলামুল হক দ্রুত রোগ নির্ণয় ও ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নয়নে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তার মায়ের নামে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স ও একটি ডরমেটরি ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, দেশে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য দেশব্যাপি সচেতনতা সৃষ্টিতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উন্নত চিকিৎসা ও সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সঠিক সময় রোগ ধরা পড়লে ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব। কিন্তু সরকারের পক্ষে ক্যান্সারের বিপক্ষে একা সবকিছু করা সম্ভব নয়। এজন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সমাজে ক্যান্সার সচেতনতা বাড়াতে হবে।বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি ও বাংলাদেশ ক্যান্সার হসপিটাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম যৌথভাবে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি চত্বরে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।গত ৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (শনিবার) এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।আরএস/পিআর

Advertisement