পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজে এক ম্যাচেও শেষ ১০ ওভারে ব্যাটিং ভালো হয়নি বাংলাদেশের। হাতে পর্যাপ্ত উইকেট থাকার পরও শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে লেজে গোবরে অবস্থা। ২৫ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলায় ৭ উইকেট হাতে থাকা অবস্থায় শেষ ১০ ওভারে রান উঠেছে ৬৯। তাও ৭ উইকেট খুইয়ে। একই দলের বিরুদ্ধে ১ অক্টোবর দারুণ শক্ত ভীতের ওপর দাঁড়িয়েও একই অবস্থা। শেষ ১০ ওভারে যোগ হয়েছে মোটে ৬৪ রান। কাকতালীয়ভাবে গত ৪ অক্টোবর বিসিবি একাদশ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, সেখানেও শেষ ১০ ওভারে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের সংগ্রহ ৪৪ রান। লেট অর্ডার ব্যাটিংয়ের এ জীর্ণ অবস্থার উত্তোরণ ছাড়া ইংলিশদের সাথে পারা কঠিন। এ সত্য মানছেন অধিনায়ক মাশরাফিও। তাই তো বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে অকপট স্বীকারোক্তি, ‘সত্যিই গত সিরিজে আমাদের শেষ দিকের ব্যাটিংটা বাজে গেছে।’ শুধু ওই স্বীকারোক্তিই নয়, টাইগার অধিনায়কের কণ্ঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে লেট অর্ডার ব্যাটিং দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জোর তাগিদও- ‘যেসব জায়গায় ভুল ছিল কিংবা ঘাটতি ছিল সেসব ঠিক করতে হবে। আমরা অবশ্যই তা নিয়ে ভাবছি।’ আফগানদের সাথে সিরিজের তিন ম্যাচের চালচ্চিত্র বর্ণনা করে মাশরাফি বলেন, প্রথম ম্যাচে সেট ব্যাটসম্যানরা আউট না হলে অন্যরকম হতে পারত। দ্বিতীয় ম্যাচে পুরো ব্যাটিংই ভেঙে পড়েছে। শেষ ম্যাচে মোটামুটি ভালোই করেছে। রিয়াদ ভালোভাবে শেষ করেছে। তবে রিয়াদকে আমরা ভালোভাবে সাপোর্ট দিতে পারিনি। দিতে পারলে স্কোর লাইন বড় হতে পারতো। ওই সময়টায় ৫-১০ রানও অনেক ম্যাটার করে।’ এটুকু শুনে নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে টাইগার অধিনায়ক বুঝি শুধু ফাঁক-ফোকর ও শূন্যতা নিয়ে ভাবছেন। আসলে তা নয়। যেসব বিভাগ ও জায়গা ক্লিক করেছে, সেগুলো অটুট রাখতেও বদ্ধপরিকর তিনি। মাশরাফির শেষ কথা, ‘আফগানিস্তানের সাথে সিরিজে যা হয়নি, তা যাতে ভালো মত হয়, সে চেষ্টা অবশ্যই থাকবে। এর বাইরে যে কাজগুলো ঠিকঠাক মত হয়েছে, আমরা যা যা ভালো মত করতে পেরেছি, সেগুলো যাতে ইংলিশদের সাথেও করতে পারি- সে চিন্তাও মাথায় রাখতে হবে।’এআরবি/আইএইচএস/পিআর
Advertisement