খেলাধুলা

শেরেবাংলায় সেনাবাহিনীর বিশেষ মহড়া

শেষ ২০১১ সালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো মহড়া হয়েছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। তবে সেবার ছিল ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ। এরপর পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছরের বেশি। এমন মহড়ার প্রয়োজনই বোধ করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বৃহস্পতিবার আবার জাগিয়ে তোলা হলো ২০১১ এর স্মৃতি। মিরপুরের শেরেবাংলায় আধঘণ্টা ধরে চলল সেনাবাহিনীর কমান্ডো মহড়া। জানিয়ে দেওয়া হলো যে কোনো নাশকতা মোকাবেলা করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে সেনাবাহিনীও।বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এক প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এম ইমরুল হাসান বলেন, ‘দেশ ও জাতির যেকোনো প্রয়োজনে অবদান রাখতে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সরকার আমাদের কোনো দায়িত্ব প্রদান করলে, সেটা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সব সময় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ক্রিকেট সিরিজের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র বিশেষায়িত ফোর্স ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ আর্মি এভিয়েশন এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটা সার্বিক মহড়া এই মাত্র অনুষ্ঠিত হলো।’এদিন বেল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে সেনাবাহিনীর এ মহড়া। ব্যাপারটি শুধু শ্বাসরুদ্ধকরই নয়, ছিল মনোমুগ্ধকরও। দুটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে প্রায় ৫০ জন প্যারা কমান্ডো সদস্য দুই ধাপে বিসিবি একাডেমিতে প্রবেশ করেন। এরপর এক এক করে অভিযান চালায় কমান্ডো বাহিনী। কীভাবে কোনো খেলোয়াড় জিম্মি হলে উদ্ধার করবে আর কীভাবে জিম্মিকারীদের ওপর আক্রমণ করবে তারা। আর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করে দ্রুত কীভাবে বের নিয়ে যাওয়া হবে।এ মহড়ার মূল কারণ ছিল আসন্ন ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ। এ সিরিজে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই এতসব কাণ্ড। কোনো রকম নাশকতা হলে আর পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে জরুরি প্রয়োজনে ৩০ মিনিটের মধ্যেই উপস্থিত হবেন এই কমান্ডোরা।আরটি/এমআর/পিআর

Advertisement