জাতীয়

খাদিজার ওপর হামলায় সংসদে উদ্বেগ

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও নিষ্ঠুর অভিহিত করে জাতীয় সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।খাদিজার ওপর হামলাকে কেয়া চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী স্কুল-কলেজে যদি ছাত্রীরা নিরাপত্তা বোধ না করে, তাহলে কীভাবে মেয়েরা লেখাপড়া করবে? এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’এরপর ফিরোজ রশিদ বলেন, গত মঙ্গলবার আমরা জাতিসংঘে নারী-পুরুষের সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ‘প্লানেট ফিফটি ফিফটি চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্তির মাধ্যমে দেশ ও জাতির জন্য বিরল সম্মান অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। কিন্তু সেই দেশে প্রতিদিন নারীর ওপর হামলা হচ্ছে, মেয়েদের হত্যা করা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ এ ব্যাপারে প্রশাসনকে আরো কঠোর হবার আহ্বান জানান কাজী ফিরোজ। তিনি এসব ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারে দেয়ার দাবি জানান। এসবের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, নিঃসন্দেহে এটা নিন্দনীয় ও করুণ ঘটনা। আমাদের বুঝতে হবে এটা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়, সামাজিক ব্যাধিসম্পন্ন কিছু ছেলে ও মানুষ রয়েছে। তিনি বলেন, এই ঘটনার পরপরই আমি সিলেটের ডেপুটি কমিশনার এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। এই সংসদ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে আবারো কথা বলেছি। বিকেলে মেয়ের চাচা আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে কথা বলেছি। মেয়েটির চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন সব বিষয়ে কথা বলেছি, নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। ইতোমধ্যে ওই কালপ্রিটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার আমাকে জানিয়েছেন, তারা দ্রুত চার্জশিট তৈরি করতে পারছেন। কারণ সব প্রমাণ চোখের সামনে রয়েছে। সুতরাং এ ব্যাপারে যা যা সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ‘মেয়ে কিংবা ছেলেদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা বিভিন্ন সময়ে ঘটে থাকে, এগুলো দুঃখজনক। সভ্যতাকে আমরা যতই এগিয়ে নেই না কেন মানুষের আদিম প্রবৃত্তি পেছনে ফেলে আসতে পারিনি। আমাদের আইন আছে, শাস্তি আছে, বিচার আছে তারপরও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। আস্তে আস্তে আমাদের এ ধরনের ঘটনা থেকে মুক্ত হয়ে আসতে হবে।’এইচএস/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement