লাইফস্টাইল

ছোট ফ্লাটের সাজ

ছোট ফ্লাটে থাকার জায়গা নিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন, অন্দরসজ্জা নিয়ে ভাবার সময় আর কোথায়! ব্যাপারটি কিন্তু পুরোপুরি ঠিক নয়। আপনি চাইলে ছোট ফ্লাটেই রাখতে পারেন সাজিয়ে। সেজন্য দরকার একটুখানি বুদ্ধি আর অনেকখানি ইচ্ছা-১. কোনোভাবেই যেন বাসার কোনো স্থান অব্যবহৃত না থাকে। পারলে একটা ঘরকেই বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করুন। যেমন- বসার ঘরেরই একদিকে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে খেতে খেতেও আপনি বন্ধু-বান্ধব অথবা পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।২. শোয়ার ঘরের একদিকে রাখতে পারেন ছোট স্টাডির ব্যবস্থা। এখন তো স্পেস সেভিং আর মাল্টি ফাংশনের কথা মাথায় রেখে নানা রকম ফার্নিচারও বানানো হয়ে থাকে।  ঘর বড় দেখানোর জন্য প্যানোরামিক স্টাইলে জানালা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘরে আলো বেশি আসবে, আবার ঘর দেখতেও বড় লাগবে।৩. দেয়ালের রঙ খুব ভেবেচিন্তে পছন্দ করা উচিত। কয়েকটি প্রাথমিক আইডিয়া থাকা ভালো। যেমন- হালকা রঙ স্পেস ইলিউশন তৈরি করে, আর গাঢ় রঙের ব্যবহারে জায়গা ছোট দেখায়। সেজন্য ছোট ফ্ল্যাটে যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করাই ভালো। হালকা রঙ ঘরে একটা দিনের ভাব ফুটিয়ে তোলে।৪. কাঠের ব্যবহার ঘরের সৌন্দর্যে বাড়তি আমেজ নিয়ে আসে। ছোট ফ্ল্যাটের অন্দর সাজের বেলায়ও চাইলে কাঠের ব্যবহার করতে পারেন। বসার ঘরের এক পাশে নিচু এল শেপের বসার ব্যবস্থা করতে পারেন। আবার ঠিক তার ওপরে বই রাখার জন্য দেয়ালে লাগাতে পারেন নান্দনিক নকশার বুকসেলফ। এতে ঘরের স্পেস অনেক বাঁচবে। শোয়ার ঘরের একটি দেয়ালে সুবিধামতো লাগিয়ে নিতে পারেন এলসিডি টিভি।৫. ছোট ফ্ল্যাটের দরজা কিংবা জানালায় পর্দা ব্যবহার করা উচিত হালকা কাপড়ের এবং রঙ হওয়া উচিত হালকা। পারলে জানালার পর্দার ঝুলটা একটু বেশি রাখবেন, এতে ঘরে বাড়তি স্পেস ইলিউশন তৈরি করা যায়। কুশন বা রাগসে মোনোক্রোম্যাটিক কালার থিম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।এইচএন/এমএস

Advertisement