প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় গৃহীত ও বাস্তবায়িত চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৪৯৭টি একাডেমিক/আবাসিক ভবন, ছাত্রাবাস, ৬১৩৪টি বিদ্যালয় (সরকারি-বেসরকারি), ৪০১টি কলেজ (সরকারি-বেসরকারি) এবং ৯১৫টি মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ৩ হাজার ২৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ/সংস্কারের কাজ চলছে। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আয়েন উদ্দিনের (রাজশাহী-৩) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। এর আগে বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার আমলে শিক্ষাখাতে গ্রহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যাথ ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জেলা সদর হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে করোনারি কেয়ার ইউনিট এবং সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ চালু করা হবে। মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫ সালে দারিদ্রের হার ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২০ সালের মধ্যে এই হার ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। একই সময়ের মধ্যে রফতানি আয় ৩০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, আমদানি ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ২৩ হাজার মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ এলাকার বিস্তৃতি ৯৬ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া বেসরবকারি বিনিয়োগের জন্য ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। মো. আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল মাত্র অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না। এ জন্য সামাজিক শক্তির উদ্যোগে মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন আনতে হবে। এ বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে যাচ্ছে। ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববাজারে মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পন্য রফতানি করা হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। মামুনুর রশিদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ৭ বছরের বেশি বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের হার ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ। হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হলে এর হার ৭০ শতাংশের বেশি হবে। আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কাজ ২০১৩ সাল নাগাদ শেষ হবে। তবে তিনটি জেটি নির্মাণের কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে। এইচএস/জেএইচ/এমএস
Advertisement