দাজ্জালের আবির্ভাব এক বিরাট ফিতনা। কারণ আল্লাহ তাআলা তাকে অনেক বড় বড় আশ্চর্য রকমের ঘটনা ঘটানোর শক্তি ও সামর্থ্য দান করবেন। যার ফলে সাধারণ মানুষের চিন্তা-শক্তিতে বিশাল এক ধরনের প্রভাব বিস্তার করবে। এবং মানুষ কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়বে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, তার সাথে জান্নাত (বেহেশত)-জাহান্নাম (দোযখ)থাকবে। প্রকৃত পক্ষে তার জাহান্নাম হবে (মুমিনের) জান্নাত। আর তার জান্নাত হবে (মুমিনের) জাহান্নাম।দাজ্জালের সঙ্গে থাকবে রুটির পাহাড় এবং পানির নহরসমূহ। তার নির্দেশে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হবে। জমিন থেকে উদ্ভিদ উৎপন্ন হবে। পৃথিবীর সমস্ত গুপ্তধন তার সঙ্গে সঙ্গে চলবে।আকাশের মেঘমালাকে বাতাস যেমন দ্রুত ধাবিত করে; ঠিক তেমনিভাবে দাজ্জালও অতিদ্রুত পদে পথ অতিক্রম করবে।দাজ্জালে পৃথিবীতে ৪০দিন অবস্থান করবে। দাজ্জালের প্রথম দিন হবে এক বছরের সমান। দ্বিতীয় দিন হবে এক মাসের সমান। তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহের সমান। আর বাকি দিনগুলো হবে দুনিয়ার সাধারণ দিনের মতো।অবশেষে আল্লাহ তাআলার হুকুমে দাজ্জালের পতন ঘটাতে হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম পৃথিবীতে অবতরণ করবেন। অতঃপর তিনি ফিলিস্তিনের ‘লুদ’ নামক স্থানে কিয়ামাতের বড় ফিতনা দাজ্জালকে হত্যা করবেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দাজ্জালের সব ধরনের ফিতনা থেকে হিফাজত করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement