বিনোদন

সাংবাদিক আওলাদ হোসেনের স্মরণসভা আজ

প্রয়াত সাংবাদিক মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো গেল ২ অক্টোবর। এই দিনটিকে উপলক্ষ করে একটি মিলাদ মাহফিল ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) বাদ আছর এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের প্রজেকশন হলে এটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়াত আওলাদ হোসেনের সহকর্মীবৃন্দ এর আয়োজন করেছেন। আর সহযোগিতায় থাকছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি)।দৈনিক মানজমিন পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন আওলাদ হোসেন। মূলত বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয়, পূজনীয়। তাই আজ তার জন্য দোয়া ও আলোচনায় অংশ নিতে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিএফডিসির পরিচালক তপন কুমার ঘোষ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, বাচসাস সভাপতি আবদুর রহমান, শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ওমর সানী, সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসানসহ মৌসুমী, সাইমন, কেয়া, জায়েদ খান, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মুভি প্লানেটের কর্ণধার ফরমান আলী ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের বরেণ্য মানুষেরা। থাকবেন শোবিজের অন্য ভুবনের তারকা ও ব্যক্তিত্বরাও। অনুষ্ঠানে আওলাদ হোসেনের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিনোদন২৪ডটকমের সম্পাদক মইনুল হক রোজ বলেন, ‘অনুজদের প্রতি মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ভাই আমৃত্যু স্নেহশীল ছিলেন। তার ভালোবাসা, তার দেয়া পরামর্শ, তার আদর্শকে লালন করে অনেকেই আজ চলচ্চিত্র সাংবাদিক হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। ভাই আজ নেই। তার অভাবটা চলচ্চিত্রের অস্থির এই সময়ের মুহূর্তে মুহূর্তে অনুধাবন করছি সবাই। তার মতো বিশাল হৃদয়ের মানুষের জন্য উপযুক্ত কিছু করবার যোগ্যতা আমাদের নেই। কেবল তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ছোট পরিসরে এই আয়োজন করা হয়েছে। সবাইকে আমন্ত্রণ রইল আজকের মিলাদ মাহফিল ও স্মরণ সভায়।’প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৬৬ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার ইসলামপুরের নিজ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত মোবারক হোসেন ও মা লুৎফুন্নেসার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ।হাম্মাদিয়া হাইস্কুলের মানবিক বিভাগ থেকে  ১৯৮২ সালে এসএসসি, ১৯৮৪ সালে শেখ বোরহান উদ্দীন কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৭ সালে অনার্স ও ১৯৯০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।প্রবীন এই সাংবাদিক ১৯৮৭ সালে ‘দৈনিক খবর’ এর ম্যাগাজিন ‘সাপ্তাহিক ছায়াছন্দ’ তে সহ-সম্পাদক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ ১৫ বছরের কর্মজীবন ছেড়ে ২০০৪ সাল থেকে বর্তমান অবধি ‘দৈনিক মানবজমিন’ পত্রিকায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এর পাশাপাশি তিনি দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক দিনকাল, দৈনিক যুগান্তর, সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা, সাপ্তাহিক মনোরমা, সাপ্তাহিক বর্তমান দিনকাল, সাপ্তাহিক চিত্রালী, পাক্ষিক প্রিয়জন, পাক্ষিক বিনোদন বিচিত্রা, চ্যানেল আই এর পাক্ষিক আনন্দ আলো, পাক্ষিক আনন্দ ভুবন পত্রিকায় নিয়মিত আমন্ত্রিত লেখক হিসেবে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি বিষয়ক কলাম ও প্রতিবেদন লিখেন।সাংবাদিক হিসেবে তিনি দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রতিবেদকদের অধিকার আদায় ও চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিজেকে বিভিন্ন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ২০০২-২০০৩ কার্যবর্ষে ‘ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক’ পদে দায়িত্ব পালন করেন। শেষ জীবনে তিনি ফিল্ম জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’র সভাপতি পদে দায়িত্বে ছিলেন।মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৯২ সালের ৯ জানুয়ারী মৌসুমী হোসেনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির মো. শাহবাজ হোসেন মুন ও অপরাজিতা হোসেন মীম নামে দুই সন্তান রয়েছে। ছেলে ও মেয়ে দুজনেই বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ছেন।আওলাদ হোসেন দেশের চলচ্চিত্রের অনেক ইতিহাস ও ঘটনার সাক্ষী। স্বভাবতই তিনি প্রজন্মের বিনোদন সাংবাদিকদের কাছে ছিলেন বটবৃক্ষের মতো, প্রতিষ্ঠানের মতো। এলএ/পিআর

Advertisement