খেলাধুলা

মায়ের ভাবনাকে সম্মান করেই জন্মদিন পালন করি না : মাশরাফি

জন্মদিনে আনন্দ-উল্লাস, কেক কাটা, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হইচই, কখনো বা আতশবাজি- এসবই তো হয়। যে দিন এই পৃথিবীর মুখ দেখা, সেই দিনটাকে প্রতি বছরই এভাবে স্মরণীয় করে রাখছেন অনেকে। ওই উৎসবের দিনের ছবি কেউ রাখছেন ফ্রেমবন্দি করে।

Advertisement

তবে স্রোতের বিপরীতে গেলে প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। জন্মদিন পালন করেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা! কেন? হোক তা নিজের কিংবা ছেলেমেয়েরও! বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক জানালেন, মায়ের ভাবনাকে সম্মান করেই জন্মদিন পালন করেন না তিনি।

তাই বলে যারা জন্মদিন পালন করছেন, তারা ঠিক করছেন না- এমনটাও বলছেন না মাশরাফি। তবে টাইগার দলপতির প্রথম জন্মদিনটা তার মা পালন করেছিলেন ধুমধাম করে। সেই ঘটনাটাই মাশরাফি মিডিয়াকে বললেন এভাবে, ‘আমি নানা বাড়িতে বড় হয়েছি। আমার প্রথম জন্মদিনটা ধুমধাম করেই আমার মা পালন করেছিলেন। নানা শুধু দেখেছেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর নানা ডেকে মাকে বললেন, ‘ধরো তোমার ছেলে যদি ৭০ বছর বাঁচে, তাহলে ওর বয়স কমছে না বাড়ছে?’ মা মাথা নিচু করে বললেন, ‘কমছে।’ নানা তখন বললেন, ‘তাহলে এভাবে উৎসব না করে গরিব-দুঃখীদের খাওয়াতে পারো, নফল নামাজ পড়তে পারো।’

তখন থেকেই নাকি মাশরাফির পরিবারে কেউ এভাবে (কেক কেটে) জন্মদিন পালন করছেন না। নানার কথাতেই জন্মদিন পালন না করার ভাবনাটা আঁকড়ে ধরেছেন তার মা। মাশরাফির ভাষায়, ‘আম্মা হয়তো তারপর সেটাই আঁকড়ে আছেন। আমার বোধ হওয়ার পর দেখিনি আমার পরিবারে কারো জন্মদিন উৎসব করে পালন করা হয়েছে। উইশ করা বা এ ধরনের কিছু তো হয়ই। তবে পালন করা হয় না। আমিও ছেলেমেয়েদের জন্মদিনে কেক কাটি না বা পালন করি না। হয়তো ঘুরতে যাই ওদের নিয়ে বা একসঙ্গে সময় কাটাই। তার মানে এই নয় যে যারা পালন করে, তারা ঠিক করে না। সবার নিজস্ব ব্যাপার। আমার মায়ের ভাবনাকে সম্মান করে আমাদের পরিবারে জন্মদিন পালন করি না।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালের আজকের এই দিনে (৫ অক্টোবর) নড়াইলের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা মাশরাফি। তিনি পার করে ফেলেছেন জীবনের ৩৩টি বসন্ত। আজ (বুধবার) ৩৪তম জন্মদিন তার। মজার বিষয় হচ্ছে, তার ছেলে সাহেলের জন্মও একই দিন। ২০১৪ সালের একই দিন ঢাকায় জন্ম তার ছেলে সাহেলের।

এনইউ/পিআর