জাতীয়

বর্তমানে দেশে ২ হাজার ৮শ’র বেশি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে

দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈ-মাসিক, ষাণ্মাষিক মিলে বর্তমানে দেশে ২ হাজার ৮শ’র বেশি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম আখতার জাহানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমবান্ধব। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অবাধপ্রবাহ নিশ্চিতকরণ তথা গণমাধ্যমের বিকাশে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত ৭ বছরের বেশি সময়ে ৭ শতাধিক পত্রিকার নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বেসরকারি মালিকানায় ৩১টি স্যাটেলাইট চ্যানেল, ২৪টি এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও’র অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সরকারি ৩টি টেলিভিশন চ্যানেলের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৬টি টেলিভিশন চ্যানেল, ২১টি এফএম এবং ১৭টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার জন্য সরকার ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’ প্রণয়ন করেছে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবাদপত্রের যথাযথ বিকাশ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘দ্য প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (ডিক্লারেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ ও দ্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেছে।হাসানুল হক ইনু বলেন, বেসরকারি মালিকানায় এফএম ও কমিউনিটি রেডিও স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সরকার যথাক্রমে ‘বেসরকারি মালিকানায় এফএম কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১০’ এবং ‘কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০০৮’ প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট বর্তমান সরকারের বিগত ৭ বছরের অধিক সময়ে ১৬ হাজার ১ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। অপরদিকে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট একই সময়ে ২ হাজার ২৫৫ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য একটি দায়বদ্ধ ‘সম্প্রচার কমিশন’ গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘সম্প্রচার আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত পরিমার্জন কার্যক্রম চলমান। এইচএস/জেএইচ/আরআইপি

Advertisement