অর্থনীতি

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার আহ্বান

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও হেডকোয়ার্টার্সে মিনিস্টিরিয়াল মিটিং-এর ‘লং-টার্ম কমোডিটি প্রাইজ ট্রেন্ডস অ্যান্ড সাসটেইনেবল এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট’ সেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সোমববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এফওএ-এর মহাপরিচালক জসি গ্রাজিয়ানো দা সিলভা বক্তব্য রাখেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, কৃষি অর্থনীতি নির্ভর বাংলাদেশে ৪০ ভাগ মানুষ কাজ করছে এ সেক্টরে। স্বাধীনতার পর জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ৭৮ ভাগ, বর্তমানে এ অবদান ১৪.৯৫ ভাগ। বাংলাদেশের উন্নয়নে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এসডিজি’র ৮২ ভাগ অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশের বর্তমান ইকনোমিক গ্রোথ ৭.১ ভাগ, এর মধ্যে রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধি ৯.৭৭ ভাগ। সেখানে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ ভাগ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষির আধুনিকায়ন, মাটির গুনাগুন পরীক্ষা, গবেষনা, উৎপাদিত কৃষিপণ্য যথাযথ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ জরুরি। সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের অভাবে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ কৃষি পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে এফএও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ ধরনের সহযোগিতা এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্যও প্রয়োজন। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী এফওএ-এর মহাপরিচালক জসি গ্রাজিয়ানো দা সিলভা এর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। তিনি মহাসচিবকে অবহিত করে বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে জমির পরিমাণ কমলেও গবেষণার মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল কৃষি পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকেই এফওএর সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এফএও’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সবধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।এমইউএইচ/জেএইচ/আরআইপি

Advertisement