বগুড়ায় ট্রাকে পেট্রল বোমা ছোড়ার ঘটনায় নিহত ঝিনাইদহের ইমরান হোসেনের (২১) গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহত ইমরান জেলার শৈলকুপা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনেরা। পুরো গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। এদিকে এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। ঝিনাইদহের শেখপাড়া বাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া দিনাজপুরগামী পানবাহী একটি ট্রাকে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বগুড়ার তিনমাথা এলাকায় পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ট্রাকের চালকের সহকারী ইমরান হোসেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুপুর ২টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর পর স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। দুই বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে ইমরান ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান। সে পরিবারের অন্যতম উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ট্রাক চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো সে। শৈলকুপার শেখপাড়া ডিএম ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। এসএসসি পাসের পরে পরিবার থেকে লেখাপড়ার খবর বহন করতে না পারায় ইমরান ও ভাই রকি এ পেশা বেছে নের। এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন ন এলাকাবাসী।ছেলের এমন মৃত্যুতে কাঁদতে কাঁদতে শুকিয়ে গেছে মায়ের চোখের জল। কিন্তু থামছে না বিলাপ। নিহত ইমরানের মা জহুরা বেগম বলেন, আমার যা শেষ হবার তা শেষ হয়ে গেছে। এমন কি আর ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে। শোকে নিঃস্তব্ধ হয়ে গেছেন তার বাবাও। ইমরানের বাবা আয়ুব হোসেন জানান, লেখাপড়া শিখে চাকরি করার স্বপ্ন পূরণ হলো না ছেলের। তিনি এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।এমএএস/আরআই
Advertisement