খেলাধুলা

জাতীয় লিগের পারফরম্যান্সেই দলে ফিরলেন আল আমিন

একেই বলে ভাগ্য! আইসিসির সহযোগি সদস্য ও তুলনামুলক দূর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪ জনের দলে জায়গা না হলেও ক্রিকেটের পরাশক্তি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ঠিক সুযোগ পেলেন আল আমিন।রোববার সন্ধ্যায় ইংলিশদের বিরুদ্ধে প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য যে ১৪ জনের দল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে আছেন পেসার আল আমিন। এদিকে আল আমিন দলভুক্ত হওয়ায় কপাল পুড়েছে আরেক পেসার রুবেল হোসেনের। আফগানদের সঙ্গে প্রথম দুই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে না পারা রুবেল হোসেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জায়গা হারিয়েছেন।নির্বাচকরা তাকে প্রথম দুই ম্যাচের জন্য বিবেচনায় আনেননি। শুধু রুবেল হোসেনই নন। দলে জায়গা পাননি তাইজুল ইসলামও। তার বদলে আফগানিস্তানের সাথে শেষ ম্যাচে বল হাতে নজর কাড়া বাঁহাতি স্পিনার মোশারফ রুবেলে আস্থা নির্বাচকদের।সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দ্বিতীয় বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এন্ড কোং তাইজুলকে বাদ দিয়ে মোশাররফ রুবেলকেই বেছে নিয়েছেন। এছাড়া আফগানিস্তানের সাথে আর যারা দলে ছিলেন তাদের সবাই আছেন।তিন ম্যাচে মোটেই সুবিধা করতে না পারা সৌম্য সরকারের ( ১১+২০+০) ওপর থেকে আস্থা হারাননি নির্বাচকরা। একটি সিরিজে ভাল খেলতে না পারলেও সৌম্যর সামর্থ্য আছে কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভাল খেলার, তা ভালই জানা নির্বাচকদের।গত বছর এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ১১০ বলে ১২৭), দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৮৮ ও ৯০ রানের ঝড়ো ইনিংস দুটিই বলে দিয়েছে যে কোন বোলিং শক্তির বিরুদ্ধে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য আছে। নির্বাচকরা সে সব বিবেচনায় এনেই সৌম্যকে রেখেছেন।এ সম্পর্কে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, টিম ম্যানেজমেন্টও সৌম্যকে চেয়েছে। আমরাও তার অতীত বিবেচনায় এনেছি। এটা প্রমাণিত যে সৌম্যর আরও ভাল খেলার সামর্থ্য আছে। তাই আরও একটি সিরিজে তাকে সুযোগ দিতে চাই আমরা। দেখা যাক সে কি করে?তামিম ইকবাল ও সৌম্যর সঙ্গে ব্যাকআপ ওপনার হিসেবে ইমরুল কায়েস থেকে গেছেন। আফগানদের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ৩৭ রান করার পর ভাইটাল ক্যাচ ফেলে দলের বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন এ বাঁ-হাতি।পরের দুই ম্যাচে আর ১১ জনে জায়গা পাননি। তবে ইংলিশদের বিরুদ্ধে ইমরুলকেই থার্ড ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়া অধিনায়ক মাশরাফি, সহ অধিনায়ক সাকিব, কীপার কাম মিডল অর্ডার মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ অটোমেটিক চয়েজ হিসেবে আছেন। সঙ্গে নাসির হোসেন এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকেও রাখা হয়েছে।রুবেলকে বাদ দিয়ে আল আমিনকে নেয়ার কারণ কি? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ব্যাখ্যা, রুবেল আফগানিস্তানের সাথে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। মনে হয়েছে তার ফিটনেসে ঘাটতি আছে।তাই বলের ধারও কম ছিল। তাই আমরা বিকল্প খুঁজেছি। আল আমিন জাতীয় লিগে এক ইনিংসে ১৭ ওভার বল করেছে। সেখানে তার বোলিং ফিটনেস ভাল মনে হয়েছে। তাই আমরা তাকে নিয়েছি।আর একটা কথা আল আমিনকে কখনই আমরা স্কোয়াডের বাইরে ঠেলে দেইনি। এখন পরিবেশ- পরিস্থিতি ডিমান্ড করেছে, তাই তাকে আবার নেয়া হয়েছে। তাইজুল ইসলামকে বাইরে রেখে মোশাররফ রুবেলকে বিবেচনায় আনার কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিনহাজুল বলেন, তাইজুলও ভাল বোলার। তবে মোশাররফ রুবেল আফগানিস্তানের সাথে শেষ ম্যাচে ভাল বোলিং করেছে। তিন তিনটি উইকেটের পতনও ঘটিয়েছে। এজন্যই তাকে রাখা।ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে বাংলাদেশের স্কোয়াড :মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), সাব্বির রহমান রুম্মন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাসির হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আল-আমিন হোসেন, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোশাররফ হোসেন রুবেল।এআরবি/আইএইচএস/এএম

Advertisement