বিশেষ প্রতিবেদন

স্বাস্থ্য স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণে কোটি কোটি টাকা গচ্চা!

রাজধানীসহ সারাদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও বাস্তবায়নকারী সংস্থার কাজের মানে মোটেই সন্তুষ্ট নয় মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থবরাদ্দ দেয়া হলেও সংশ্লিষ্ট সবার যথাযথ কার্যক্রম তদারকি না থাকায় বরাদ্দকৃত অর্থের বিপরীতে কাজের মান চরম হতাশাব্যঞ্জক। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও চিকিৎসা শিক্ষা) নাসির আরিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্য স্থাপনাসমূহে মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম আরো স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়নের জন্য অচিরেই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সভায় স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা গণপূর্ত বিভাগের কাজের মানে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান। অপরদিকে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় থেকে সময়মতো অর্থছাড় না হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে হয় বিধায় কাজের কাঙ্ক্ষিত মান ধরে রাখা সম্ভব হয় না। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছর (২০১৬-১৭) এ রাজস্ব বাজেট থেকে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে ৬০ কোটি ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে ১২০ কোটি টাকা অর্থবরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে বরাদ্দকৃত অর্থের শতকরা ১০ ভাগ সংরক্ষিত রেখে বাকি অর্থ ব্যয় করা যাবে বলে জানানো হয়। সভার সভাপতি নাসির আরিফ মাহমুদ জানান, তিনি জুন মাসে ব্যক্তিগতভাবে রাজধানীর জাতীয় কিডনি ও হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতাল সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখেন চলতি বছরের জানুয়ারির কাজ মে মাসেও শুরু হয়নি।

Advertisement

তার কথার সূত্র ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন, জুন মাসের শেষের দিকে মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু অর্থবরাদ্দ দেয়ার ফলে সমস্যা হয়। তবে সভাপতি জানান, গত অর্থবছর শতকরা ৯০ ভাগ অর্থবরাদ্দ জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে দেয়া হয়।পারস্পরিক আলোচনায় সারাদেশে মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়নের জন্য সবাই আরো আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে সভাপতিকে আশ্বস্ত করেন। এমইউ/জেএইচ/পিআর