অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের (সরকারি-বেসরকারি) বকেয়া বাবদ মোট ৮ হাজার ২৮৩.৩৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ব্যাংকগুলো এ অর্থ পায়।রোববার জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-৩ আসনের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। সংসদে অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান প্রশ্নের জবাব দেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টার সংসদের বৈঠক শুরু হয়।সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বেগম লায়লা আরজুমান বানুর আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)সহ সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।রিজার্ভ খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় এজহার দাখিল করা হয় যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ দণ্ড বিধির আলোকে মামলা হিসেবে গৃহীত হয়েছে। বর্তমানে সিআইডি কর্তৃক এ ঘটনায় দেশি বিদেশি ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম, মানিলন্ডারিং ও খোয়া যাওয়া/প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যেই হোক না কেন, সম্ভাব্য সকল আইনের আওতায় তাকে আনা হবে মর্মে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানানো হয়।এইচএস/আরএস/পিআর
Advertisement