ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিআইডির দুটি রাসায়নিক ল্যাবরেটরিতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় অর্ধশত মামলার বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। ভিসেরা, মাদকদ্রব্য, এসিড, নারী ও শিশুসহ বিধিধ মামলায় প্রতিদিন গড়ে দেড় শতাধিক আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সেখানে পাঠানো হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ল্যাবরেটরির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সর্বোচ্চ সংখ্যক মামলা ও আলামত মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত। ল্যাবে প্রেরিত মোট নমুনার শতকরা ৬০ভাগই ইয়াবার আলামত। ল্যাবরেটরিতে মাদকদ্রব্যের আলামতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তারা। ল্যাব সূত্রে জানা গেছে ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১জুলাই পর্যন্ত গত ৭মাসে ৯হাজার ৮শ’৩৯টি মামলায় মোট ৩০হাজার ৩৭৮টি আলামত পাঠানো হয়। ধরণভেদে দুটি রাসায়নিক ল্যাবরেটরিতে যে ধরনের আলামত পাঠানো হয় তন্মধ্যে মানুষ ও গবাদিপশুর ভিসেরা, এসিড দগ্ধ আলামত, বীর্য মিশ্রিত আলামত, বিষাক্ত পানি ও মাছ, হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, চোলাই মদ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও গান শট রেসিডিউ রয়েছে।মোট মামলার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৮৮২টি মাদকের মামলায় প্রায় ২৫ হাজার আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এছাড়া ভিসেরা সংক্রান্ত ২ হাজার ৬৭৯টি মামলায় ৫ হাজার ২৬৮ আলামত, এসিডের ২৫ মামলায় ৫০টি আলামত, নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯৬ মামলায় ১৭০টি আলামতসহ আরো ১৫৭ মামলায় ২৭১টি আলামত পাঠানো হয়। জানা গেছে, মামলা ও আলামতের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও ল্যাবরেটরির কর্মরতরা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিয়মিত বেশিরভাগ মামলার রিপোর্ট মামলা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল, পুলিশ ও আদালতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। গত ১আগষ্ট পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায় মাত্র ৯১টি মামলার ৩শ’ আলামত মুলতবী রয়েছে। ল্যাব সূত্রে জানা গেছে মুলতবী মামলা ও আলামতের সংখ্যা আগে আরো অনেক কম ছিল। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দিলীপ কুমার সাহা জাগো নিউজকে বলেন, দেশে মাদকের বিশেষ করে ইয়াবার ব্যবহার বাড়ছে। ল্যাবে প্রেরিত নমুনার অর্ধেকের বেশি আলামতই ইয়াবার মন্তব্য করে তিনি বলেন, সম্প্রতি তাদের ল্যাবে মাদকের আলামতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে মাদকের অধিকাংশ আলামত পরীক্ষার জন্য পুরান ঢাকার মাদকনিয়ন্ত্রন অধিদফতরের ল্যাবে পাঠানো হতো। কিন্তু বর্তমানে এসব নমুনা তাদের ল্যাবে অধিকহারে পাঠানো হচ্ছে।এমইউ/এমএমজেড/আরআইপি
Advertisement