খেলাধুলা

অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকা দলটাই সম্ভবত এমন। যেদিন জ্বলে উঠবে, সেদিন আর কোন কিছু বাধ সাধতে পারবে না তাদের সামনে। সেঞ্চুরিয়নে অস্ট্রেলিয়া তোদের সামনে ছুড়ে দিয়েছিল ২৯৫ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই কঠিন চ্যালেঞ্জকে এতটাই সহজ করেছে যে, মাত্র ৩৬.২ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে।একা এক কুইন্টন ডি ককই স্টিম রোলার চালিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর। ১১৩ বল খেলে একাই তিনি করেছেন ১৭৮ রান। ১৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে মেরেছেন ১১টি ছক্কার মার।ইনিংস ওপেন করতে নেমে শুরুতেই যে মারমুখি ভঙিতে অবতীর্ণ হন তিনি তা রীতিমত অবাক করার মত। একের পর এক বলকে তিনি পাঠাচ্ছিলেন বাউন্ডারির বাইরে। কখনও ওভার বাউন্ডারি। পাল্লা দিয়ে ছলছিল তার চার-ছক্কা মারার প্রদর্শনী।ওপেনিং জুটিতেই রিলে রুশোকে নিয়ে বিজয় লিখে ফেলেছিলেন ডি কক। দু’জন মিলে গড়েন ১৪৫ রানের জুটি, তাও মাত্র ১৭.১ ওভারে। খাটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ যেন।ওই সময় গিয়ে অ্যাডাম জাম্পার বলে লেগবিফোর হওয়ার আগে ৪৫ বলে ৬৩ রান করেন রিলে রুশো। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি মারেন ১টি ছক্কার মার।এরপর ২৬ রান করে ডু প্লেসিস, ৯ রানে জেপি ডুমিনি আউট হন। সর্বশেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন ডি কক আউট হন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২৮০। বাকি কাজ সেরে নেন ডেভিড মিলার এবং ফারহান বেহার্ডিয়েন।  অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একমাত্র সফল বোলার ছিলেন স্কট বোল্যান্ড। ৩ উইকেট নেন তিনি। ৭ ওভারে করেন ৬৭ রান। বাকি উইকেটটি নেন অ্যাডাম জাম্পা।এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ‍ডু প্লেসিস। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারোন ফিঞ্চ ৬৪ রানের জুটি গড়েন। ৩৩ রান করে ফিঞ্চ, ৪০ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন জর্জ বেইলি। ৫১ রান করেন জন হাস্টিংস। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। একাই ৪ উইকেট নেন আন্দিল পেহলুকুয়াও। ২ উইকেট নেন ডেল স্টেইন।আইএইচএস/এএম

Advertisement