ভারত ও পাকিস্তানের যে কোনো ধরনের সংঘাতে পরস্পরকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ভারত ও পাকিস্তান-উভয় দেশকে উত্তেজনা নিরসনে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।পাক অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জোশ আর্নেস্ট বলেছেন, ওয়াশিংটন কাশ্মিরের ঘটনা সম্পর্কে কিছু প্রতিবেদন পেয়েছে। উত্তেজনা কমিয়ে আনতে দু’দেশকে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যে অংশীদারিত্ব রয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরও একই ধরনের বিবৃতি দিয়ে ভারত ও পাকিস্তান-উভয় দেশকেই শান্ত ও সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। উত্তেজনা নিরসনে এ যোগাযোগ বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এ ছাড়া ভারত-পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে সেবিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মিরে গভীর রাতে ঢুকে সাতটি সন্ত্রাসী আস্তানায় অভিযানের দাবি করেছে। অভিযানে অন্তত দুই পাক সেনা ও ৩৮ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। তবে পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের সেনা অভিযানের খবর নাকচ করে দিয়ে পাকিস্তান বলছে, কাশ্মিরে ঢুকে পড়ায় পাক সেনাবাহিনীর গুলিতে ৮ ভারতীয় সেনা নিহত ও এক সেনা সদস্যকে আটকের দাবি করেছে ইসলামাবাদ। ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পাঠানকোটে সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ ভারতীয় সেনা নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয় ভারতের। পাঠানকোট হামলায় পাকিস্তান জড়িত বলে ভারত দাবি করলেও পাকিস্তান বরাবরই তা নাকচ করে আসছে। এ ঘটনার জেরে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশের মাঝে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এ দুই দেশের মাঝে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ইন্টান্যাশনাল বিজনেস টাইমস।এসআইএস/এমএস
Advertisement