দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের কথা। ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিলেন মাশরাফি অ্যান্ড কোং। পরাজয়টা বাংলাদেশের কোটি ক্রিকেট ভক্তের মত বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনকেও কষ্ট দিয়েছিল, ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। এরপর টিম মিটিং ডাকলেন তিনি। ক্রিকেটারদের কাছে নিজের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন। এ নিয়ে মিডিয়াও অনেক কানাঘুষা হয়েছে। তবে, পরের ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ এবং সিরিজও জিতে নেয়।দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক বড় দল। তাদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের গৌরবটাও বাংলাদেশের অনেক বড়। ইতিহাসের মাইলফলক; কিন্তু আফগানিস্তান তো পুঁচকে দল। আইসিসির সহযোগি সদস্য। এই দলটির কাছে বাংলাদেশের পরাজয় মানে লজ্জ্বায় অধোবদন হয়ে যাওয়া। প্রথম ম্যাচে হারতে হারতে কোনমতে জয়, দ্বিতীয় ম্যাচে সেটাও সম্ভব হলো না। লজ্জার ষোলকলা পূর্ণ করে ২০৮ রানে অলআউট এবং ২ উইকেটে পরাজয়। শুধু তো পরাজয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রেটিং পয়েন্টও হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হওয়াটাই স্বাভাবিক।সমর্থকরা বিসিবি প্রেসিডেন্টকে সেই ভূমিকায় আবারও দেখতে চান, যে ভূমিকা তিনি নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর। বিসিবি প্রেসিডেন্ট সমর্থকদের মনের সেই কথা সম্ভবত বুঝতে পেরেছেন। ঠিকই তিনি আজ টিম হোটেল, র্যাডিসন ব্লুতে মাশরাফিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের উৎসাহও দিয়ে এসেছেন।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে মাশরাফি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠক করতে অবশ্য টিম হোটেলে আসেননি পাপন ভাই (নাজমুল হাসান পাপন)। তিনি এসেছিলেন ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক একটা কাজে।’‘রথ দেখা আর কলা বেচা’র মতই তাই ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এলেন পাপন। মাশরাফি জানিয়েছেন, টিম বাংলাদেশকে অভয় এবং উৎসাহও দিয়ে এসেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট।আইএইচএস/পিআর
Advertisement