যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে মামলার ভয় দেখিয়ে দেড় লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বেনাপোল থানাতে অবস্থান করে নিরীহ মানুষদের ভয়-ভিতি দেখিয়ে এই চাঁদাবাজি করে আসছেন এসআই মনির। গত মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে রাব্বি স্টোরের মালিক ইবাদতসহ ৩ জনকে অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ করে উঠিয়ে নিয়ে আসেন পোর্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনির। দিনভর তাদের থানায় আটকে রেখে চলে দেনদরবার। অবশেষে দেড় লাখ টাকা অর্থ বাণিজ্য করে পরের দিন বুধবার ভোরে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয়রা জানান, বেনাপোল সীমান্ত এলাকা হওয়ায় অনেকের বিরুদ্ধে কম বেশি অভিযোগ রয়েছে। দেখা গেছে কেউ দশ বছর আগে কোনো অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এখন নেই। পুলিশ এসব মানুষকেও দুই তিন মাস অন্তর মিথ্যা মাদক ব্যবসার অভিযোগ দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে আসছে। এসময় থানায় আটকে রেখে মাদক দিয়ে মামলা আবার কখনো ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি চলে। মাঝে মধ্যে পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়েও ফাঁসানো হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত দুই বছর ধরে পোর্ট থানায় দেদারছে এসব অপকর্ম চললেও এগুলো যেন দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে পুলিশের অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন প্রথমে আটক ও ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে অস্বীকার করলেও পরে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু পরে খোঁজ খবর নিয়ে কোনো অপরাধ না পাওয়ায় পরের দিন তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। জামাল হোসেন/এফএ/আরআইপি
Advertisement