চুলের সাজ মানুষের চেহারার আকৃতি বদলে দেয়। তবে বর্তমান সময়ে চুলকে সাজাতে বেণী বেশ জনপ্রিয়। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, অফিস কিংবা পার্টি যেকোনো জায়গাতে অনায়াসেই আপনি বেণী করে চুল সাজাতে পারেন। চলুন জেনে নেই কোথায় কেমন বেণীতে আপনাকে মানাবে। সব অনুষ্ঠানে, সব ধরনের পোশাকের সাথেই সব বয়সী মেয়েদের জন্য বেণী মানানসই। এক্ষেত্রে শুধু খেয়াল রাখতে হবে মুখের গড়ন। একটু ভারী মুখ হলে টেনে বেণী করা ঠিক হবে না। সামনের দিকের চুলগুলো কোঁকড়া করে বা ঢেউ খেলিয়ে ছেড়ে রাখা যায়। মেসি বা এলোমেলো ধাঁচের বেণি করা যেতে পারে। আর সরু গড়নের মুখ হলে যেকোনো স্টাইলই মানিয়ে যাবে। লম্বা চুলের সাথে যেকোনো বেণীই করা যায়। ছোট চুলের ক্ষেত্রে সামনের দিকের চুল নিয়ে ফ্রেঞ্ছ বেণীর মতন করে স্টাইল করা যায়। মাঝখানে সিথি করে দুই পাশে ফ্রেঞ্ছ বেণী করে চুল ছেড়ে রাখলে ভালো লাগবে।এছাড়াও একসাইডে সিথি করে, একপাশ বা দুইপাশেই ফ্রেঞ্ছ বেণী করে চুল ছেড়ে বা একটা পনিটেল করে নেয়া যায়। এরসাথে বেণিতে ছোট পুঁতি বা নানা আকারের ব্যান্ড ব্যবহার করা যায়। একসময়ে প্রজাপতি বা ছোট ছোট ফুলের আকারের রঙিন ক্লিপের ব্যবহার প্রচুর দেখা যেত। সেগুলোই আবার এখন ব্যবহার করা যেতে পারে। এভাবে চুল বাঁধলেই হয়ে যাবে পার্টি সাজ। লম্বা চুলের ক্ষেত্রেও সামনের দিকটা লেয়ার করে কাটা থাকলে এমন স্টাইল করা যায়। চাইলে পেছনের চুল বেঁধে খোঁপা বা পনিটেইল করে নেয়া যায়। অথবা পুরো মাথার চুল ভাগ করে ছয়টা ফ্রেঞ্চ বেণি করে নিলে দারুণ পার্টি সাজ হয়ে যাবে। তারপর নিচের দিকে সব কটি মিলিয়ে বড় একটা খোঁপা করে নিলেও ভালো লাগবে, চাইলে চুল ছেরেও রাখা যায়। পার্টির সাজের সঙ্গে এমন চুলের স্টাইল দারুণ মানাবে। বিয়ের সাজেও এখন বেণীর প্রচলন দেখা যায়। লম্বা বেণীর সাথে ফুলের মালা বা প্রতিটি বেণীর খাজে একটি করে ফুল লাগিয়ে নেয়া যায়। এছাড়াও স্টোন বা পাথর বসান বিভিন্ন ধরনের চুলের সাজ পাওয়া যায়। বেণীর সাথে এমন সাজ দারুন মানাবে। এ সময়ের বেণি শুধু দেশি ঢঙের মতন নয়। একে এখন ফাংকি, ফিউশন ধাঁচের স্টাইল হিসেবেও ধরা হচ্ছে। আর এজন্যই কুর্তা, টপ, টি-শার্ট, সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে এটি মানানসই। আবার শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও বেণীর প্রচলন চলে আসছে বেশ দারুণরূপে।এইচএন/আরআইপি
Advertisement