আল্লাহ তাআলা মানুষকে অনেক ভালোবেসে তাঁর ইবাদাত করার জন্য তৈরি করেছেন। তিনি চান না যে, তাঁর বান্দা অভিশপ্ত জীবন যাপন করুন। আবার মুসলমান যত বড় পাপীই হোক না কেন, তাকে অভিশাপ দেয়া জায়েজ নেই। হতে পারে মৃত্যুর পূর্বে সে নিষ্ঠার সঙ্গে তাওবা করে নিয়েছে। আল্লাহ তাআলা তার অন্যান্য নেক আমলের কারণে তার পাপগুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন। যা মানুষের জানা সম্ভব নয়।পক্ষান্তরে যারা অভিশাপের কাজ করে তা থেকে তাওবা না করে এবং কুফরি করে আর কুফরি কাজ করা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে তারা অভিশপ্ত। তাদের প্রতি মাখলুকাতের অভিশাপ বর্ষিত হয়। অভিশপ্তদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন-‘নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করে এবং কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে; তাদের ওপর আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাগণের এবং সমগ্র মানবমণ্ডলীর অভিশাপ। এ অভিশাপ অবস্থায় তারা চিরদিন থাকবে; তাদের শাস্তি হ্রাস হবে না এবং তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে না।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৬১-১৬২)পূর্ববর্তী আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাওবাকারীদের জন্য সুসংবাদ প্রদান করেছেন। তাদেরকে লানত তথা অভিশপ্ত করেছেন। অতপর এ আয়াতে তাদেরকে তাওবা করে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন।এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা কুফরি নীতি অবলম্বন করে মারা গেছেন, তাদের প্রতি আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা এবং মানবমণ্ডলীর অভিশাপ। শুধু তাই নয়, তারা চিরকাল শাস্তির মধ্যে অবস্থান করবে; তাদের শাস্তি কমানো হবে না এবং তাদেরকে কোনো শাস্তি থেকে অব্যহতিও দেয়া হবে না।এখানে কুফরের আসল অর্থ হচ্ছে গোপন করা বা লুকানো। অর্থাৎ এ কুফর থেকেই অস্বীকারের কথা বুঝানো হয়েছে। ঈমান অর্থ মেনে নেয়া, বিশ্বাস করা, কবুল করা, স্বীকার করা আর না মানা; প্রত্যাখ্যান করা; অস্বীকার করা।পরিশেষে...যারা আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হয়, সত্যকে গোপন করে, অন্যদের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট হয় আর তাওবার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে নাই এবং কুফরি অবস্থায় বিদায় গ্রহণ করে তাদের পরিণাম অত্যন্ত শোচনীয়। কেননা তারা চিরকাল অভিশপ্ত। তাদেরকে আল্লাহ, ফেরেশতা এবং মানবমণ্ডলী অভিশাপ দিয়ে থাকে। পরকালে দোযখই তাদের শেষ ঠিকানা। চিরদিন তারা শাস্তির মধ্যেই থাকবে, যে শাস্তি হ্রাসও হবে না এবং অবকাশও দেয়া হবে।আল্লাহ তআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল প্রকার গোনাহসহ কুফরি থেকে হিফাজত করুন। কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement