আন্তর্জাতিক

কাশ্মির বিতর্ক মিটিয়ে ফেলতে পাক-ভারতকে চীনের আহ্বান

সার্ক সম্মেলন বর্জন করে ভারত পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোণঠাসা করে ফেলেছে। ভারতের সম্মেলন বর্জনের ঘোষণার পরই আরো তিন দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং ভুটানও সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।কাশ্মির ইস্যু নিয়েই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এ কারণেই কাশ্মির বিতর্ক মিটিয়ে ফেলতে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লিকে প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউ ঝেনমিন কাশ্মির নিয়ে ইসলামাবাদের এক প্রতিনিধি দলকে বলেছেন, বেইজিং আশা করছে, ভারত ও পাকিস্তান আলোচনার পথে এগোবে এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ কথা জানানো হয়েছে। এত দিন ধরে ভারতের আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়েই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বাণিজ্য করিডর তৈরি করতে এগিয়েছে চীন। উরির ঘটনার পরে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে গোটা বিশ্বে পাকিস্তান যখন কোণঠাসা, তখনও তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক বন্ধুত্বের কথা বলে এসেছে বেইজিং। তবে সন্ত্রাসে পাকিস্তানের মদতের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ, ভুটান ও আফগানিস্তান ভারতের পাশে দাঁড়ানোর পরেও বেজিংয়ের বক্তব্য, কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তানের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। কূটনীতিকেরা মনে করছেন, সিন্ধু ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নিয়ে বেজিংয়ের অবস্থান ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বের। কেননা, সিন্ধুর উৎপত্তি চীনে। আর ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে ভারত। ফলে সিন্ধু চুক্তি নিয়ে ইসলামাবাদকে কোণঠাসা করতে চাইলে চীন পাকিস্তানকে সমর্থন করে কিনা, তা ভেবে দেখছে ভারত।উরির ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রক্ত আর পানি একসঙ্গে বইতে পারেনা। চুক্তি নিয়ে ইসলামাবাদকে চাপে ফেলতে দিল্লিতে বৈঠকে বসে রণনীতি ঠিক করেছেন মোদি। এর পরেই সিন্ধু বিতর্ক নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ এনেছে ইসলামাবাদ। চন্দ্রভাগা নদীতে ভারত যাতে বাঁধ না দিতে পারে, তা দেখার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভারতও সিন্ধু চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে।টিটিএন/আরআইপি

Advertisement