আন্তর্জাতিক

সীমান্তে পাক সেনাবাহিনীর মহড়া, সতর্ক বিএসএফ

রাজস্থান সীমান্তে পাক সেনাবাহিনীর সমাবেশ লক্ষ করে ফের সতর্ক করে দেওয়া হল বিএসএফকে। পাকিস্তান একে সেনা মহড়া বলে দাবি করলেও ঝুঁকি না নিয়ে পশ্চিম সীমান্তে অতিরিক্ত আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। খবর আনন্দবাজারের।পাকিস্তানের দাবি, জয়সলমেরের উল্টো দিকে সৈন্য সমাবেশ করে আসলে স্থলবাহিনী ও বিমানবাহিনী যৌথ ভাবে মহড়া দিচ্ছে। পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই মহড়ায় অংশ নিয়েছেন পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রায় ৩শ’ সদস্য। সেখানে যুদ্ধবিমানও মহড়ায় অংশ নিয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ১৫ হাজারের কাছাকাছি পাক সেনা জওয়ান এখন এই যুদ্ধ মহড়ায় ব্যস্ত। মহড়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে ট্যাঙ্ক এবং কামানও।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসলামাবাদের আশঙ্কা, উরির বদলা নিতে যে কোনও সময়ে হামলা চালাতে পারে ভারত। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মির সীমান্তে যে ভাবে ভারত প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে, তাতে সেই ভয় আরও জোরদার হয়েছে। তা ছাড়া, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালানোর প্রশ্নে চাপ রয়েছে নরেন্দ্র মোদির উপর। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি সত্যিই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে, তখন ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় পাল্টা হামলা চালাতে হবে পাকিস্তানকে। স্থলপথে হামলা হলে তা হবে ভারতের পশ্চিম সীমান্ত দিয়েই। তাই আগে থেকেই সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখতে এ ভাবে মহড়া শুরু করেছে পাকিস্তান। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে ৩০ অক্টোবর। পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা এই মহড়া কিছুটা অভূতপূর্ব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ব্যাখ্যা, আসলে এক মাসের বেশি সময় ধরে সীমান্তে আগেভাগেই সেনা মোতায়েন করে রাখতে চাইছে পাকিস্তান। যাতে ভারত হামলা চালালে দ্রুত প্রত্যুত্তর দেওয়া সম্ভব হয়।সীমান্তে পাকিস্তানের এ ধাঁচের মহড়া সমাবেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কেন্দ্র। সে কারণে বিএসএফ ও সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি উরির মতো সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সমস্যা আটকাতে বিএসএফকে আরও শক্তিশালী করতে নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বর্তমানে বিএসএফের নিজস্ব বিমানবাহিনী থাকলেও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে তার ব্যবহার বা পরিচালন করার ক্ষমতা বাহিনীর হাতে নেই। বিএসএফের পক্ষ থেকে তাই কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে যে ভাবে কোস্ট গার্ড স্বনিয়ন্ত্রিত সংস্থার মতো কাজ করে ঠিক সেই মর্যাদা তাদের বিমানবাহিনীকেও দেওয়া হোক। যাতে নজরদারি বা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে বিএসএফ নিজেই বিমান ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। টিটিএন/আরআইপি

Advertisement